কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নিয়ামতপুরের রোহা গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস এ- এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেসি গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ উদ্দিন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ এরশাদ উদ্দিনের নতুন আধুনিক জে,সি এগ্রো দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজ করন প্রকল্প এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে। ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে খামারের আশপাশে ও রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরী হলেও নৌকায় করে ছুটে আসছেন গরু ক্রেতারা। নেয়ামতপুরে বিলে ৪২ শতাংস নিজস্ব জায়গায় গরুর খামারেই এখন সময় দিচ্ছেন এরশাদ উদ্দিন। গরু পোষা তাঁর প্রিয় সখ। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরিকল্পনা ছিল গরুর খামার প্রতিষ্ঠার। গেল মার্চে বহির্বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে যখন লকডাউন ছিলো তিনি তখন ঢাকা হতে নিজ এলাকায় এসে অবসর সময় না কাটিয়ে করোনাকালের ভেতরেই উদ্যোগ নেন গরু খামারের। ৬০টি দেশি বিদেশী গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণেরও উদ্যোগ নেন। অনেক গরু কুরবানীর জন্য উপযোগী হলে খামারে এসেই নিয়ে যাচ্ছেন গরু ক্রেতারা। খামারে বিদেশী কিছু গাভী দিয়ে দুগ্ধ খামারও সম্প্রসারণ করেছেন।
আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে উন্নত জাতের প্রায় ৬০টি গরু মোটাতাজাকরণের কাজ করছেন তিনি। আশা করছেন, প্রতিটি গরু তিন থেকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। ৫০০ গরু এক সাথে লালন পালনের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি এ খামারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। খামারের জন্য তাকে দিতে হয়েছে প্রচুর পরিশ্রম। বিনিয়োগ করতে হয়েছে এককালীন বড় অংকের টাকা। এ ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে গরুগুলোর পেছনে প্রতিদিন তার ব্যয় হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
তিনি জানালেন,আমাদের খামারে ক্রেতা যেন উচ্চ মুল্যে গরু ক্রয় করতে না হয়। তাই ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে গরুর লাইভ ওয়েট নির্ণয় করা হয়। তাতে ক্রেতা গোস্তের সঠিক আইডিয়া পেতে সুবিধা হয়,ক্রেতা ঠকার কোন সুযোগ নেই। খামারে সবুজ ঘাস ও অন্যন্য প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। গরুর খাবারের জন্য আমার বাড়ির পাশেই কয়েক একর জায়গায় উন্নত জাতের ঘাসেরও চাষাবাদ করেছি।
আমাদের খামারে ক্যমিকেল বা বিষযুক্ত খাবার ব্যবহার করা হয় না। আধুনিক চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে প্রতিটি গরুকে রোগমুক্ত করে সুস্থ সবল করে রাখা হয়। শুধু ঈদ নয় বছরের যেকোন অনুষ্ঠানের জন্য খামার থেকে গরু ক্রয় করতে পারবেন।
এরশাদ উদ্দিনের খামারে গিয়ে দেখা যায় গরুর যতেœ ব্যস্ত তিনি নিজেই। তাঁর খামারের লোকজন কেউ খড় কেটে দিচ্ছেন গরুর সামনে। কেউ গরুকে গোসল করাচ্ছেন কেউ বা তার দুগ্ধ খামারে দুধ দোহন করছেন। তিনি চিন্তা করছেন খামার আরও সম্প্রসারণের। এতে করে একদিকে যেমন এলাকার বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে অন্যদিকে অর্থনৈথিক লাভবান হওয়া যাবে।
নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারলে চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষিত তরুণদের এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এরশাদ উদ্দিন।