নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর-বনপাড়া কৃষি ও কারিগরি কলেজের ননএমপিও ২০ জন প্রভাষক ও ৭ জন অফিস সহকারী বঞ্চিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনা থেকে। ওই কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল আজিজ জানান, গত ২৫ মে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ক্ষুদে বার্তা মারফত জানতে পেরে আমি ঐ দিনই আমার কলেজর ২৭ জন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীর নামের তালিকা অনলাইনে পাঠিয়েছি। বুধবার (২৯ জুলাই) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার ননএমপিও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষক/কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক প্রণোদনার চেক বিতরণ করা হয়। কিন্তু আমার কলেজের ননএমপিও ওই ২৭ জন শিক্ষক কর্মচারী সেখানে উপস্থিত হলেও দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের প্রণোদনার চেক দেওয়া হয়নি। প্রণোদনা বঞ্চিত প্রভাষক মোঃ মুক্তার হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, গত ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করে এমপিওভুক্ত হতে পারলাম না। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত হলাম, তা হলে ঈদ করবো কিভাবে? এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, আমি ওই কলেজের ননএমপিও শিক্ষক/কর্মচারীদের নামের তালিকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাটোর বরাবরে প্রেরণ করেছি। কোন কারণে তাদের নাম প্রণোদনা প্রাপ্তিতে বাদ পড়েছে তা আমার জানা নাই। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রমজান আলী আকন্দ বলেন, বিভিন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত ননএমপিও সকল শিক্ষক/কর্মচারীর নামের তালিকা আমি আমার অফিসের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করেছি, তারা কেন প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আমি তা বলতে পারছি না।