ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খর্দ্দ লক্ষনদিয়া গ্রামে ভাগ্নি জামাই কাইয়ুম শেখ এর হাতুরী পেটায় মারাত্মক আহত কাজী মনির (৫০) ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে খুলনার একটা প্রাইভেট হাসপাতালে মারা গেছে।
প্রতক্ষ্যদশী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে নিহত কাজী মনিরের ভাগ্নি বিয়ে দেন একই গ্রামের তছিরুদ্দীন শেখ এর ছেলে কাইয়ুম শেখ এর সাথে। কাজী মনিরের ভাগ্নিকে মঝে মধ্যেই মারধর করত ভাগ্নি জামাই কাইয়ুম ও তার পরিবারের লোকজন। গত ১৭ জুলাই শুক্রবার কাজী মনির গ্রামের দুইজন গন্যমান্য ব্যাক্তিকে নিয়ে ভাগ্নি জামাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে তার ভাগ্নিকে কেন অত্যাচার করা হয় তার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন ভাগ্নি জামাই কাইয়ুম বলেন আমার এই দুই জনে হবে না সালিশে আরো লোক লাগবে। তখন ভাগ্নি জামাইয়ের ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় কাজী মনির বলেন, এই সালিশ বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত আমার ভাগ্নির সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করবা না বলার সাথে সাথে ভাগ্নি জামাই ও তার ছোট ভাই হাতরী দিয়ে কাজী মনিরের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারাৎক আহত হন। আহত অবস্থায় প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর বর্তীতে ঢাকায় চিকিৎসা করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতালে মারা গেছে। ঘটনার পর পরই ঘাতক কাইয়ুম শেখ এবং তার ছোট ভাই ও মাকে আসামি করে সালথা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাজী মনিরের মত একজন ভাল মানুষের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।