আসাদুল ইসলাম। ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার রাখালভোগা গ্রামের বাসিন্দা। রোজার ঈদের আগে গরুর ব্যাপারীরা তার একটি গরুর মূল্য সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম বলেছিলেন। তিন মাস পর এখন সেই গরুর দাম উঠেছে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। অথচ এই তিন মাসে গরুর ওজন বেড়েছে তিন মণের ওপরে।
ওজন বাড়ার পরও দাম এমন পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গরুটির মালিক আসাদুল ইসলাম। অথচ অনেক আশা নিয়ে সন্তানের মতো গরুটি লালন-পালন করেছেন তিনি। তার আশা ছিল ঈদুল আজাহায় ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস তার সেই আশা ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। এখন তিনি তিন লাখ টাকা হলেই গরুটি বিক্রি করবেন। ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার রাখালভোগা গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, আমার এক আতœীয় গরুর ব্যবসা করেন। গত বছর তারা চট্রগ্রামে গরু নিয়ে যান। আমার গরুর মতো গরু গত বছর গাড়ি থেকে নামাতে না নামাতেই সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘এবারও আমার ওই আতœীয় চট্টগ্রামে গরু নিয়ে গেছেন। আমার গরুটি নিয়ে যেতে বলেছিলাম। তিনি জানান, এত বড় গরু নিয়ে যেতে ভয় করছে। আপনি সঙ্গে গেলে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু আমি কখনও বাইরে গরু নিয়ে যাইনি। তাই তার প্রস্তাবে রাজি হইনি।’