ক্ষোভ থেকে শিশু মুজাহেদুল ইসলামকে (৪) গলাটিপে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাই আবির (১৪)। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে আবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন হাজীরহাট থানায় সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ্ কাওসার জানান, গত ২৮ জুলাই মুজাহেদুলের সাথে ঝগড়া হয় আবিরের। এ ঘটনায় মুজাহেদুলের মা আবিরকে আঘাত করলেও সেও পাল্টা আঘাত করে তার চাচীকে। ঘটনা জানার পর ওই দিন রাত ১০টায় মুজাহেদুলের বাবা আবিরকে মারপিট করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবির ২৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝারের মধ্যে তার চাচাতো ভাই মুজাহিদুলকে ডেকে এনে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পরশুরাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন, হাজীরহাট থানার ওসি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে হাজীরহাট থানাধীন পশ্চিম রাজেন্দ্রপুর শালমারা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে মুজাহেদুল ইসলাম নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে মেট্রোপলিটন পুলিশের চৌকস সদস্যরা লাশ উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামেন।৩০ জুলাই দুপুরে মুজাহেদুলের বাড়ির পার্শ্বে একটি বিলের পাশ থেকে তার রক্তাত্ব লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই আবিরকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে বলে জানায়।
অপরদিকে চাঞ্চল্যকর ঢাকার ব্যবসায়ী তোশারফ হোসেন পপিকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী কামরুজ্জামান লেবু, লোকমান হোসেন ওরফে বাবু, মোছাঃ লাবনী বেগম (২৭), মোঃ মহসীন আলী, মোঃ ফজলে রাব্বীকে (২৬) চলতি মাসে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে ফজলে রাব্বীর কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।