খুলনার পাইকগাছায় কওমী মাদরাসার এতিম ও দুঃস্থ শিক্ষার্থীরা অবশেষে ৭২ দিন পর পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের অনুদানের চেক হাতে পেয়েছে। নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে এ চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এসাইনমেন্ট কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম মুসফিক স্বাক্ষরিত পত্রে দেখা যায়, উপজেলার ৭টি কওমী মাদরাসার এতিম ও দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। যার স্মারক নং- ০৩.০০৭.০৩৭.০০.৩০১.২০২০(অংশ-৩০০)-১২৩৪। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। মে মাসে ১৭ তারিখের চিঠিতে অনতিবিলম্বে ওই টাকা বিতরণ করতে বলা হয়। ২৩ মে সদ্য বিদায়ী ইউএনও জুলিয়া সুকায়না সহি স্বাক্ষর করে ওই টাকা জেলা থেকে উত্তোলন করেন। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে না জানিয়ে সমস্ত টাকা তার কাছে রেখে দেন। এর মধ্যে রমজান গেল, ঈদুল ফেতর গেল এমনি ভাবে ২ মাস গেলেও টাকার কোনো হদিস নেই। বিষয়টি জানার পর চাঁদখালী শামসুল উলুম কওমী মাদরাসার শিক্ষক অয়েস উদ্দীন গত ২৮ জুলাই ইউএনও দপ্তরে টাকার জন্য আবেদন করেন। নবাগত ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বিষয়টি ঈদের পরে সময় দেন এবং খোঁজ খবর নিয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার ৬টি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কাছে চেক হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, এ টাকার কথা তার মনে ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, যথা সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অনুদান প্রদান করলে ভালো হত। আমি আবেদন পাওয়ার পর কওমী মাদরাসাগুলোকে সংবাদ দিয়ে চেক প্রদান করেছি।