বগুড়ার আদমদীঘিতে আলোচিত শিহাব হত্যা মামলার পলাতক মূল আসামি শিপলু ও তার পিতা এখলাস হোসেন কে ঘটনার ৭ দিন পর ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রাম থেকে শনিবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, ঈদের দিন বিকেলে দমদমা গ্রামের উত্তর পাড়ার সোহাগ হোসেনের ছেলে শিহাব তার কয়েক বন্ধু নিয়ে ওই রক্তদহ বেইলি ব্রিজ এলাকায় আড্ডা দিতে যায়। এ সময় সেখানে শিহাব গ্রুপের সাথে পাশের করজবাড়ি গ্রামের এখলাস হোসেনের ছোট ছেলে শিপন গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বদলা নিতে ফুঁসে উঠে শিপনের বড় ভাই শিপলু। তার পর দিন সন্ধা রাতে দমদমা পুর্ব পাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে সদ্য মাধ্যমিক পাস করা সিহাব তার দুই বন্ধু প্রহর ও জাকির হোসেন কে নিয়ে ওই বেইলি ব্রীজ এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় সেখানে অবস্থান করা করজবাড়ি গ্রামের এখলাস হোসেনের বড় ছেলে শিপলু হোসেন, সিহাব হোসেনের নিকট এসে নাম জিজ্ঞাসা করে। সিহাব সরল বিশ্বাসে তার নাম বলা মাত্রই শিপলু সিহাবের উপর হামলা চালিয়ে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে পরে তাঁর গলা কেটে দেয়। এরপর সিহাবের বন্ধু প্রহর ও জাকির কে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সিহাবসহ তিন জনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পুর্বেই সিহাব মারা যায়। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার ৭ দিন পর শনিবার সকালে ঘটনার মূল আসামি শিপলু ও তার পিতা এখলাস হোসেনকে মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) কে.এইচ.এম এরশাদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।