শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে বালিহাঁসের প্রজনন সফল হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও বাইক্কা বিলে স্হাপিত কাঠের বাক্সে ডিম পেড়েছে বালিহাঁস। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে এটি একটি বিরল ঘটনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেন্টার ফর নেচারাল রিসোর্স স্টাডিজ ( সিএনআরএস) এর স্হানিয় সাইট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে স্হাপিত কাঠের বাক্সে বালিহাঁস ডিম দিয়েছে। গত ৯ জুলাই থেকে বাক্সে ডিম দেয়া শুরু করে। ২৫ টি বাক্সের মধ্যে ৬টি বাক্সে এ পর্যন্ত বালিহাঁস ডিম দিয়েছে। এরমধ্যে ২টি বাক্সে ১টি করে, ১টি বাক্সে ৬টি, ১টি বাক্সে ১০টি, ১টি বাক্সে ১৯ টি এবং ১টি বাক্সে ২০ টি ডিম দিয়েছে। এখন ছানা ফুটতে শুরু করেছে। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বালিহাঁস ডিম দিবে বলে জানান তিনি। সিএনআরএস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত কাঠের বাক্সগুলো দেখভাল করছেন।
ওয়ার্ল্ডফিস এর ডিভিশনাল এ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং ফ্রেন্ডস অব বাইক্কা বিলের আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, ইংল্যাণ্ডের নাগরিক এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ও তৎকালীন মাচ প্রকল্পের এ্যাডভাইজার ড. পল থম্পসনের পরামর্শে তিনি ২০০৬ সালে প্রথম বাইক্কা বিলে ২৫ টি কাঠের বাক্স স্হাপন করেন। ওই বছর কাঠের বাক্সে বালিহাঁস কোন ডিম না দিলেও ২০০৭ সাল থেকে কাঠের বাক্সে ডিম দেয়া শুরু করে যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বাইক্কা বিলে বালিহাঁসের প্রজনন সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাইক্কা বিলে বালিহাঁসের সফল প্রজনন শুধু আমাদের দেশের জন্যই নয়, এটি বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা।
মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর আরো বলেন, কাঠের বাক্স রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হবার কারনে ২/১ বছর পর পর বাক্স বদলাতে হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি কংক্রিটের বাক্স স্হাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কংক্রিটের বাক্স স্হাপন করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।