নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের নতুন জাগ্রতচর ও পুরাতন চরের ৪০ হাজার একর খাস ভূমি দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা। চরগুলো হলো- দক্ষিণ চর চরএলাহী, উড়িরচর, চর বালুয়া, চর উমেদ, চর রমজান, চর গাজী মিজান, চর গাংচিল, চর মওদুদ, চর দক্ষিণ এলাহী, চর কচ্ছপিয়া, চর কলমি, চর লেংটা, গুচ্ছগ্রাম ও ১৫হাজার একর জাগ্রতচরসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট চরগুলোসহ দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা। এসকল ভূমি দস্যুরা স-নামে বে-নামে পুরাতন চরগুলোর ভূয়া নথিপত্র বানিয়ে কৌশলে বিভিন্ন জেলার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করে এফিডেভিট ও পাওয়ারের মাধ্যমে সরকারী খাস জমি হস্তান্তর করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে পুরাতন চরের প্রায় ২৫ হাজার একর খাস জমি আইল কাটি দিয়ে ঘেরাও করে নিজেরা চাষাবাদ করছে। এদের মধ্যে যবর দখলকারী ব্যক্তিরা হলো- দক্ষিণ চর এলাহীর সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলী, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ভাই খোকা মিয়া, আবু বকর ছিদ্দিক, আবদুল মালেক, আবদুল গণি, বুলেট বাহার, আবদুল খালেক, বসু মিয়া, সাহাব উদ্দিন মেম্বার, ছিদ্দিক উল্যাহ, সিরাজ মিয়া, একরাম, মহিলা মেম্বার দৌলত আরা, গণি (২), তাজুল ইসলাম, মোঃ সোহেলসহ ৫০-৬০ জনের সেন্ডিকেট গ্রুপ। এরা নিজেরা যবর দখল করে রাখে এবং অন্যত্র প্রভাবশালী মহলের কাছে ভূয়া নথিপত্র দেখিয়ে হস্তান্তর করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল মালেক এর সাথে মোবাইল ফোনে-০১৮১৩৯০৭৪৭৫ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের কাছে অল্প কিছু খাস জমি আমাদের দখলে আছে বাকী জমি কাদের দখলে আমার জানা নাই। ওদিকে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের সাথে বার বার মোবাইল ফোনে-০১৮২০০০২৪৫২ নাম্বারের ফোন করার পর ও তিনি কল রিসিভ করেন নি। অপরদিকে মোঃ ওসমান গণি ( ০১৮১৯০৫৫৩৮১), সাহাব উদ্দিন ( ০১৮১১৬২১০৫১) এর কাছে বার বার কল করা স্বর্ত্তে ও তারা কল রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র, জেলা আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে কাউকে জবর দখলকারী ও ভূমি দস্যুদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা কে আমার অফিসে ডেকে এগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি।
অপরদিকে সহকারী কশিনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ১৭৫টি নথি বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমি মাত্র ১বার দক্ষিণ চরাঞ্চলে গিয়েছি সি.ডি.এস.পি সার্ভেটিম কাজ করার সময়। এ ছাড়া ওই এলাকার ভূমি সম্বন্ধে আমার কোন তথ্য জানা নাই।