পঞ্চগড়ের বোদায় বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ড্রাগন ফল। ফলটি দেখতে ভারি সুন্দর ও লাল টুকটুকে। উপজেলায় নয়াদিঘী গ্রামে প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ ভাবে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের বাগান। বাগানের মালিক রেলপথমন্ত্রী মহোদয়ের এপিএস রাসেদ প্রধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মনোবল ও সুনিপুণ যতেœর কারনে এ বাগান হতে প্রচুর ড্রাগন ফল উৎপাদিত হয়েছে। এই বাগানে বিষমুক্ত-নিরাপদ ও অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাদে-মানে অন্যন্য এক ড্রাগন ফল উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে ব্যবসায়ীরা ৪০০ টাকা কেজি দরে বাগান থেকে ফল কিনে নিয়ে গেছেন। অনুরুপ ভাবে উপজেলায় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ইউ‘পি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু আনছার রেজাউল করিম শামীম ও ড্রাগন ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানেও প্রচুর পরিমানে ড্রাগন ফল উৎপাদিত হয়েছে। জেলার সবর্ত্রই এখন অত্যান্ত লাভজনক ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। স্বাদে কড়া মিষ্টি না হলেও ফলটিতে ভেজষ ও ঔষুধি গুন প্রচুর পরিমানে রয়েছে। ক্যরোটিন সমৃদ্ধ থাকায় সুস্থ দেহের উন্নয়ন করে। আঁশ বেশি থাকা হজম শক্তি করে। শরীরে চর্বি কমায়। প্রচুর ক্যালসিয়ামের জন্য হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখে। ড্রাগন ফল চারা গাছ লাগানোর ৩ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি বিভাগ রপ্তানি যোগ্য এই ফলের ভবিষৎ বানিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে বেশ আশাবাদী।