গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কৃষি বিভাগের ব্যাপক তৎপরতার পরও চলতি মৌসুমে আমন ৩১হাজার,২শ’৫৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু জমিতে পোকার আক্রমণ সহ বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে দিশেহার হয়ে পরেছে কৃষক।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ কর্তৃক জানা গেছে চলতি রোপা আমন মৌসুমে বন্যা পরবর্তী রোপন সহ উপজেলায় মোট ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেন।
কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা খালেদুর রহমান জানিয়েছেন,ইতি মধ্যই অর্জিত হয়েছে ৩১ হাজার,২শ’৫৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা লাগানো হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই কৃষকরা বন্যায় রক্ষা পাওয়া ধান ক্ষেতে ইউরিয়া প্রয়োগ ও বৃষ্টির কারণে ধান গাছ ঘন ও সবুজ লক লকে হয়ে উঠায় বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই ও পোকার আক্রমনে ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পরেছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে যোগ যোগ করে জানা যায় যে, আমন ধানের সকল বালাই নিয়ন্ত্রনে মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা তৎপর রয়েছেন।বালাই আক্রমণ রোধে ইউনিয়ন ভিত্তিক স্কোয়ার্ড দল গঠন ,আলোর ফাঁদ স্থাপন সরেজমিনে পর্যাবেক্ষন পূর্বক ব্যক্তিগত যোগাযোগ, আই জি এম, আই পি এম ক্লাব ও স্কুল সহ সি আই জি গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে লিফলেট ও পরামর্শ পত্র বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারের বালাই নাশকের ডিলার ও দোকান সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় মজুদ মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল বালাই নাশক যাচাই করা হচ্ছে।
অপর দিকে এলাকার একাধিক কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন সহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান তো দুরের কথা তাদেরকে কেহ চেনেন না।