কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দ্বিতীয় দফা বন্যায় গোটা উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় আমন বীজতলা নষ্ট হলেও কৃষক চড়া মূল্যে চারা ক্রয় করে রোপন করছেন। আমন চারা ব্যবসায়ীরা, লালমনিরহাট, বড়বাড়ী, নাগেশ্বরী, রংপুর, সৈয়দপুর, তারাগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া, তিস্তা, রাজারহাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা ক্রয় করে নিয়ে এসে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছে। চারার দাম বেশী হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারী হস্তক্ষেপ না থাকায় বিক্রেতরাতা ইচ্ছেমতো নিচ্ছেন চারার দাম। পাশা পাশি বিক্রেতা ও ক্রেতার নিকট থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে হাটে। বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থ কৃষক আমন ধানের চরা কিনতে বিভিন্ন হাট বাজারে ছুটছে। এবার দীর্ঘ মেয়াদী ভয়াবহ বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে চিলমারী উপজেলার বেশী ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বন্যার ক্ষতি কিছুটা আমন ধানের চারা রোপনের প্রতি বেশী ঝুকে পড়েছে কৃষকরা। প্রতিদিন শতশত কৃষক আমন চারা ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন হাট বাজারে আসচ্ছেন। চারা বিক্রেতা জহরুল জানান অতিতের যে কোন সময়ে এবার সর্বাধীক মূল্যে চারা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পোন চারা ৮শত থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। থানাহাট বাজারে চারা কিনতে আশা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবদুল কাদের বলেন এমনিতে উচ্চ মূল্যে চারা ক্রয় করে জমিতে রোপন করেছি। আবার ও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় দূচিন্তায় আছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের বন্যায় চিলমারী উপজেলার ৩২০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। ৮,৪০০ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপনের লক্ষ মাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লক্ষ মাত্রা অর্জন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।