পাবনা বেড়া উপজেলায় যমুনা নদীতে নিষিদ্ধ ‘চায়না দোয়ারি’ জাল দিয়ে মাছ ধরায় সাত জেলেকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৩ আগষ্ট) রাত আটটার দিকে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী আদালতের বিচারক হিসেবে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে মোট সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের কর্মকর্তারা জানান, সপ্তাহ দুয়েক হলো বেড়া উপজেলায় চায়না দোয়ারি নামের সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের মাছ ধরার জাল দেখা যাচ্ছে। নিষিদ্ধ এই জাল চীন থেকে আমদানি করা বলে জানা গেছে। এই জাল মশারির চেয়েও সূক্ষ হওয়ায় এতে যেকোনো মাছের পোনা ও ডিম আটকা পড়ে। অসাধু জেলেরা এসব জাল দিয়ে পোনা ধরায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তর এসব জালকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার পেঁচাকোলা, নটাখোলা, নগরবাড়িসহ কাজীরহাট এলাকায় যমুনা নদীতে অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ এই ‘চায়না দোয়ারি’ জাল দিয়ে পোনা ধরে আসছিলেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তারা রোববার বিকালে যমুনা নদীর পাগলারচর নামক স্থানে অভিযান চালান। অভিযানে ৫০০ শ মিটার দোয়ারি জালসহ সাতজন জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা জেলেরা হলেন, সোনাই (৩৭), আলামিন হোসেন (২২), শাহ আলম (২৫), বাবুল (৩০), বাবু (২৮), রাজ্জাক (৩০) ও শাহিন আলম (২৮)। তাঁদের সবার বাড়ি মানিকঞ্জ জেলার শিবালয় থানায়। পরে রাত আটটার দিকে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের প্রত্যকে এক হাজার টাকা করে মোট সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন। আটক করা দোয়ারি জাল পুড়িয়ে ফেরা হয়।
এ ব্যাপারে ইউএনও আসিফ আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘চায়না দোয়ারি নামের মাছ ধরার ্এ ধরনের জাল নতুন এসেছে। এই ধরনের জাল মাছের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। এসব জাল দিয়ে পোনা ধরা হলে দ্রুত মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই এসব জালের বিস্তার যে কোনোভাবে ঠেকানো হবে।