পাবনার সুজানগরের পাল পরিবারে অত্যন্ত দুর্দিন চলছে। এতে অনেক পরিবার তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিয়ে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার পাল পরিবার ছিল। মাটির তৈরী হাড়ি, পাতিল কলসী এবং চাড়িসহ বিভিন্ন বাসনপত্র তৈরী করে ওই সকল পরিবার জীবিকা নির্বাহ করতেন। অবশ্য সে সময় গ্রাম-গঞ্জে মাটির তৈরী ওই সকল বাসনপত্রের বেশ চাহিদা ছিল। তখন উচ্চ এবং মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিবারে মাটির তৈরী বাসনপত্র ব্যবহার হতো। কিন্তু বর্তমানে বাজারে সিলভার, মেলামাইন এবং বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের বাসনপত্র আমদানি হওয়ায় এখন আর কেউ মাটির তৈরী বাসনপত্র কিনতে চায় না। ফলে অধিকাংশ পাল পরিবার তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। উপজেলার হেমরাজপুর গ্রামের স্বপন কুমার পাল বলেন, হাট-বাজারে এখন আর তাদের তৈরী হাড়ি, পাতিল কলসী এবং চাড়িসহ অন্যান্য বাসনপত্র তেমন একটা বিক্রি হয় না। সারাদিন বসে থেকে ২/৪ টাকা যা, বিক্রি হয় তা দিয়ে সংসার চলাও খুব কষ্টকর। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের বিজন কুমার পাল বলেন এখনও উপজেলায় ২/৩‘শ পাল পরিবার রয়েছে। কিন্তু হাট-বাজারে মাটির তৈরী বাসনপত্রের একদম চাহিদা নেই। ফলে অনেকেই পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।