তানোরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পিওন আরিফ হোসেন ও স্বামী উনমান গমির বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী ময়না খাতুন মুক্তা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তানোর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বিবরণ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের উসমান আলীর মেয়ে ময়না খাতুন মুক্তার স্বামী উসমান গনির সাথে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পিওন আরিফ হোসেনের দীর্ঘদিন থেকে বন্ধুত্ব চলে আসছিলো।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ওই গৃহবধুর স্বামী উসমান গনি বিদেশী মদ ও ফেন্সীডিলসহ তার বন্ধু তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পিওন আরিফ হোসেনকে নিয়ে বাড়িতে এসে ঘরে বসে নেশা খেতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে স্বামী উসমান গনি তার বন্ধু আরিফ হোসেনের সাথে গৃহবধুকে দৌহিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা গৃহবধুকে মারপিট করে জোর পুর্বক নেশা খাওয়ানো চেষ্টা করলে ওই গৃহবধু বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে চাবির গুছা ফেলে পালিয়ে আসেন নির্বাহী অফিসারের পিওন আরিফ হোসেন।
এঘটনার পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধু আরিফের চাবির গুচ্ছাসহ তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চাবির গুচ্ছাটি ফেরৎ দিয়ে এবিষয়টি স্বামীসহ ২জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ৮ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ওই গৃহবধুর স্বামী উসমান গনির দেয়া বক্তব্যে’র ভিত্তিতে ওই গৃহবধুকে পাত্তা না দিয়ে অভিযোগটি আমলে নেননি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো।
গত ৯ই সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১০টার দিকে ওই গৃহবধু তানোর থানায় এসে স্বামীসহ ২জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই গৃহবধুর লিখিত অভিযোগটি বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। থানায় মামলা রেকর্ড হওয়ার পর থেকে ওই গৃহবধুর স্বামীসহ ২জনই গাঢাকা দিয়েছেণ।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।