রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন আবারো দ্বিতীয় দফায় স্থগিত হয়ে গেল । গত বছরের ১৭ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করায় এই পদটি শূণ্য হয়।এরপর থেকে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ বছর মার্চের ২৩ তারিখে উপ-নির্বাচন হওয়ার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ থ্াকলেও তা করোনার কারণে স্থাগিত করে দেয় নির্বাচন কতৃপক্ষ। দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী ১০ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও স্বত্রন্ত প্রাথী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল মৃত্যু বরণ করায় আবারো নির্বাচন পিছিয়ে গেল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম মন্ডল লিভার সহ নানা সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন।গত কয়েকদিন আগে ঢাকা সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি (১২ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরেরদিন রবিবার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ হল রুমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী এম পি,র সাথে তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থতা বোধ করলে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে কিছুটা সুস্থ্যতা অনুভব করলে বাড়ীতে ফিরে যান।ওই দিন সন্ধার পর আবার তিনি অসুস্থ্য হয়ে পরলে রাত ৯ টার দিকে তাকে দ্রুত সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে আগামী ১০ অক্টোর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা হওয়ার পরদিনই নুরুল ইসলাম মন্ডল মারা যান। তিনি উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় তার মৃত্যুতে নির্বাচন আবারো পিছিয়ে গেল।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের স্থগিত থাকা উপ নির্বাচন আগামী ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।কিন্তু নির্বাচনের প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডলের মৃত্যুতে বিধি অনুযায়ী এ নির্বাচনের তফসিল বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশন নতুন তফসিল ঘোষণা করলে সে অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা করা হবে সেটা নির্বাচন কমিশন সিন্ধান্ত দেবেন।তিনি আরো জানান, বর্তমান তফসিলে যারা বৈধ প্রার্থী রয়েছেন তাদেরকে আর নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে হবে না। তারা পরবর্তী তফসিলে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। তবে নতুন কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চাইলে করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তফা মুন্সি (নৌকা) জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মাহবুব আলম শাহিন (ধানের শীষ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম মন্ডল(ঘোড়া)প্রতিক নিয়ে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন।