হঠাৎ করেই কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষনায় অবাক হয়েছে নেতা-কর্মীরা। এর আগে গত সপ্তাহে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি ও জমি জালিয়াতিসহ দখল কারার অভিযোগ উঠে কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে। অন্যের জমি রেজিষ্ট্রি ও দখলের অভিযোগ উঠার পরদিনই দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণায় শহর যুবলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত করা হয়।
একই ভাবে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হলো’।
সাংগঠনিক সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর ইয়াসির আরাফাত তুষারকে সভাপতি এবং সাদ আহম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক, ৫২জনকে সহ-সভাপতি, ৯জনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ৯জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে সংগঠনের অন্যান্য পদ পদবীসহ ২২৩সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সংসদ। দুই বছরের জন্য করা এই কমিটি মেয়াদ ২৪ নভেম্বর ২০১৯ সালেই নির্ধারিত সময় উত্তীর্ণ করেছে।
জমি জালিয়াতির অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় করা মামলার বাদি এম এ ওয়াদুদের অভিযোগ, আমার জমিতে সর্ব প্রথম রাতের অন্ধকারে কে বা কারা অনধিকার পূর্বক জবর দখল করে ঘর নির্মান এবং সেখানে গ্রেফাতার মহিবুলের মালিকানা স্বত্ত্বের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এরা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, অন্যের জমি দখলবাজির লাঠিয়াল হিসেবে ভুমিকা পালন করতেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহম্মেদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল ক্যাডার বাহিনী। তবে এ বিষয়ে সাদ আহম্মেদের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির সভাপতি ইয়াসির আরাফাত মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সংসদের ঘোষনায় কুষ্টিয়া জেলা কমিটি বিলুপ্ত করেছে এটি হয়ত স্বাভাবিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়া হতে পারে। তাছাড়া আমাদের কমিটির মেয়াদও উত্তীর্ন হয়ে গেছে। আগামীতে যারা আসবেন তাদের জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো। দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কিছু ঘটনা আছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি আদর্শ পরিপন্থী কাজ করে থাকে তাহলে তার দায় তো সংগঠন নিবে না।