খুলনার পাইকগাছায় লস্কর গ্রামের বহুল আলোচিত নাশকতা মামলা ও সাজাপ্রাপ্ত জামাতনেতা আলতাফ গাজী ও তার সহযোগী খানজাহান আলী গাজী ও আজিজুল গাজীকে পুলিশ আটক করেছেন। জানাগেছে, এলাকায় ঘের দখল, জমি দখল, জাল স্বাক্ষর, হামলা ও মারপিটের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে চলতি বছরে এমপি, ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ সহ থানায় ১১টি জিডি হয়েছে। সর্বশেষ লস্কর গ্রামের শাহামত গাজীর ছেলে মোহর আলিকে মারপিট ও গাছ পালা কাটার ঘটনায় থানায় ১২ সেপ্টম্বর ২০২০ আলতাপ ও খান জাহান গংদের বিরুদ্ধে ৫৬২নং জিডির হলে পুলিশ শনিবার সকালে এ দুজনকে আটক করে। ইতঃপূর্বে এদের বিরুদ্ধে লস্করের শিক্ষক রমাকান্ত মন্ডল, জাফর সানা, সুকুমার মন্ডল, মোক্তার গোলদার, বাঁকা গ্রামের রাজমিস্ত্রী শহিদুল মোড়ল সহ একাধিক ব্যাক্তি আলতাফ ও খানজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সহ থানায় ১১টি জিডি রয়েছে। অন্যদিকে আলতাফের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা সহ জিআর ১০/৯১ মামলায় দুই বছরের সাজা হয়। বর্তমানে হাইকোর্টের জামিনে আছে। আলতাফের বড় ভাই মোসলেম গাজি অভিযোগ করেন, ছোট ভাই আলতাফ আমাকেও ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। যাহা এলাকার মানুষ জানে। একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন, লস্করের ২৮আগস্ট ২০সকালে মুক্তার গোলদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাজমিস্ত্রী শহিদুল, তার ছেলে সোহান ও হাফিজুর মোড়লকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় লস্কর ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ হয়। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান কেএমআরিফফুজ্জামান তুহিন শালিসি সভা আহবান করলে গ্রামের শত শত মানুষ উপস্থিত হলেও আলতাফ গংরা এ সভাকে চ্যালঞ্জ করে হাজির না হওয়ায় এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে প্রশাসন পর্যন্ত গড়ায়। এ বিষয়ে ওসি মোঃ এজাজ শফি জানান, বিভিন্ন অভিযোগে আলতাফ ও খানজাহানকে আটক করা হয়। এদের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে জানান। এ দিকে আগামী ইউপি নির্বাচনে লস্কর ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, মেম্বর প্রার্থীরা এ দুজনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। পুলিশ ডাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ৩ জনকে আদালতে প্রেরণ করেন।