ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নে আগামী ২০ অক্টোবর শুধু চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মোট ৫ জন প্রার্থী মনোননপত্র ক্রয় করলেও যুুবলীগ নেতা মো. মোশাররফ হোসেন শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেননি। এরমধ্যে আওয়ামীলীগ, জাপা ও ইসলামি ঐক্যজোটের ১ জন করে ৩ জন। আর স্বতন্ত্র জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন গতকাল সকাল থেকেই স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে উপজেলা চত্বরে লোকজন জড়ো হতে থাকে। মিছিল করে নির্বাচন অফিসে যান আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মো. হাবিবুর রহমান, জাপা মনোনিত প্রার্থী চুন্টা ইউনিয়ন জাপার সভাপতি মো. বাহার মিয়া ও ইসলামি ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা আসাদ উল্লাহ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউপি যুবলীগ নেতা মো. হুমায়ুন কবির। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গত ১০ জুুলাই চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া অসুুস্থ্যতা জনিত কারণে মারা যান। ফলে চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য হয়। চুন্টা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৫১ জন। প্রয়াত শাহজাহান মিয়া (নৌকা) মোট ৫ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ মো. হাবিবুর রহমান (আনারস) পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৫ ভোট। এবারের উপনির্বাচনে নিয়মিত নির্বাচনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া শেখ মো. হাবিবুর রহমানকেই আ.লীগ মনোনয়ন দিয়েছেন। জাপার প্রার্থী মো. বাহার মিয়ার মনোনয়ন জমার সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মহাজোটের সাবেক এমপি ও জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। সাবেক এমপি মৃধা বলেন, আমরা চাই অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন। চর দখল ও রাষ্ট্রীয় অস্ত্রের ব্যবহার না হলে চুন্টা ইউপি নির্বাচনে জাপা’র প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে ইনশাল্লাহ। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন এই উপনির্বাচনটি সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সহ প্রশাসনের অন্যান্য বিভাগের সদস্যরাও মাঠে কাজ করবেন।