মণিরামপুরে একই ব্যক্তিকে দুই মাদ্রাসায় নিয়োগের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যগণ। বুধবার বিকেলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নজরুল ইসলাম নামে এক সদস্য।
লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম জানান, মেহেদী হাসান সহকারী মৌলভী শিক্ষক হিসেবে জয়নগর মহাদেবপুর দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন ২০০২ সাল থেকে। অথচ নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার একই পদে শিক্ষক হিসেবে সরকারী বেতনভুক্ত করতে চেষ্টা করে চলেছেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ওই মাদ্রাসার সুপার সাইদুল্লাহ ২০০৪ সাল থেকে কাগজ পত্রে নিয়োগ দেখাচ্ছেন।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, মেহেদী হাসানকে যেখানে নিয়োগ দেখানো হচ্ছে সে পদে মাহাবুবুর রহমান নামের এক শিক্ষক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বৈধভাবে কর্মরত আছেন। অথচ কিভাবে মেহেদী হাসানকে শিক্ষক দেখানো হচ্ছে ? নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই জানান, মাদ্রাসার সুপার সাইদুল্লাহ ও সভাপতি আজগর আলী মোড়ল মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগে পূর্বের সব রেজুলেশন ছিড়ে ফেলে নতুন করে নিয়োগ রেজুলেশন করা হচ্ছে। সে রেজুলেশনে আব্দুল গফুর এবং আয়ুব আলী নামের দু’জন মৃত্যু ব্যক্তির স্বাক্ষর করা হচ্ছে জালিয়াতি করে।
এভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী পদেও একই পন্থায় নতুন করে নিয়োগ দেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় ওই পদগুলোতে থাকা ব্যক্তিদের বাদ দিয়েই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পদে নতুন করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেখানো হচ্ছে। যা বিষয়টি তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তাক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।