টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে পঞ্চম দফায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এতে করে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সেতু পেয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি প্রবেশ করছে নদণ্ডনদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উজানে ও স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদণ্ডনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামীকাল থেকে পানি কমতে শুরু করবে বলে আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার আফি বেগম ও রহিমা বেগম বলেন, ‘আমাদের স্বামী-ছেলে সন্তান বলতে কেউ নাই। এবারের বন্যায় ২-৩ বার করে বাড়ি ভেঙেছি। এখন এই বাঁধের মধ্যে কোনো রকম আশ্রয় নিয়ে আছি। জায়গা জমি বলতে আমাদের কিছু নাই।’
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইদুল রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার ৮০-৮৫টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙন কবলিত মানুষদের দেয়ার জন্য ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি।’