পিরোজপুরে নেছারাবাদে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনকবলীত এলাকায় চলছে হা-হা-কার। নদী গর্ভে বসত-ভিটা হারিয়ে যে যার মত অন্য জাগায় স্থানান্তরে মানবতার দিন কাটাছে উপজেলার ৪টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের। বঙ্গোপসাগরের ¯্রােতধারা ধারণ করে ভয়ঙ্কর আকারের ভাঙনের রুপ নিচ্ছে নেছারাবাদের (স্বরুপকাঠি), ছারছিনা দরবার শরীফ, দঃ-পশ্চিম কৌরিখাড়া বন্দর, জলাবাড়ি বাজার, মুনিনাাক, কাউখালী বাজারসহ ৪টি গ্রামের ১৪টি এলাকা। ভাঙন কবলীত এলাকায়া বসত-ভিটা ফসলী জমি ও শতাধিক স্থাপণার সিংহ ভাগই সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েগেছে প্রায় অর্ধশত বছর আগেই। এছাড়াও মাইলকে মাইল ঝুড়ে নদীর ফাটল এলাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে হাজারও পরিবার। কৌরিখাড়ার ভাঙন কুলের আলেয়া বেগম বলেন, নদীর গর্জণে রাতে ঘুম আসে না, কখন ঘরবাড়ি নদীতে নিয়ে যায়। পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে স্থাপিত একমাত্র বিসিক শিল্প নগরী, পোষ্ট অফিসসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র মিয়ার হাট ও ইন্দেুর হাট বন্দর রয়েছে সন্ধ্যা নদীর বাঙনের হুমকিতে।
নদী শাসন ও নদী ভাঙন প্রতিরোধে মৎস্য ও প্রাণী সম্পাদ মন্ত্রী শ,ম রেজাউল করিম এমপি এবং পানি সম্পাদ প্রতি মন্ত্রী জাহীদ ফারুক এমপি সাম্প্রতিক সময়ে নদী ভাঙন কবলীত এলাকা পরির্দশন শেষে পথসভায় ভাঙ্গন রোধে আশ্বাস দিলেও এর কার্যকরি ব্যবস্থা শুরু হয়নি। তবে পানি সম্পাদ মন্ত্রণলায়ে থেকে ভাঙনকুলে কিছু পাথরগুড়া ও বালু সিমেন্টের বোস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে নদী বাঙন প্রতিরোধ হয়নি। অব্যহতি এ ভাঙ্গনে বদলেয়ে যাচ্ছে নেছারাবাদের মানচিত্র। নদীর দুই পাড়ের বসত ঘর ও ফসলী জমি, বাবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। ভাঙনকুলের মানুষগুলো পানির সাথে যুদ্ধ করে ঘর-ভিটা হারিয়ে কোনো রকমে কিনারে উঠলেও অনেকেরই মিলছে না কর্মস্থান। এসব আশ্রায়হীন মানুষকে পূর্ণ বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
নদীর এই নির্মল খেলায় সহ-সম্বল হারিয়ে সর্ব শান্ত হয়ে পড়ে পড়েছে নদীর পাড়ের হাজার হাজার পরিবার। অর্ধশত শত বছর ধরে শুরু হওয়া অব্যাহত এ ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে না পারায় ২০ বছর আগেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে জলাবাড়ি বাজার, ছারছিনা ও মিয়ার হাট বন্দর লঞ্চঘাটসহ বহু স্থাপনা। বর্তমানে বিলীন হওয়ার পথে দক্ষিণাঞ্চলের বিসিক শিল্প নগরী।