বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও দুদফা বন্যায় কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ক্ষতি আরও প্রকট হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার কৃষক।
কৃষকদের কাছে জানা গেছে, উপজেলার আড়িয়া, খরনা, গোহাইল, খোট্টাপাড়া, আমরুল ও চুপিনগর ইউনিয়নের শীতকালীন সবজি ও আমন ধান পানিতে ডুবে পচে যাচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ার পর আবার নতুন করে ধান লাগানো সময় আর নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস হিসাব অনুযায়ী, উপজেলায় প্রায় ৭০ হেক্টর রোপা আমন ও চার হেক্টর শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল জমি পানির নিচে নিমজ্জিত ।
আমরুল ইউনিয়ন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক জমির ধান, মরিচ শাকসবজিসহ নানা জাতের ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে আছে। স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে সবজি ক্ষেত রক্ষায় আইল বেঁঁধে মেশিনের সাহায্য পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ কৃষক এনজিও, অথবা দোকানী বা মহাজনের কাছ থেকে ঋণে টাকা এনে ধান-সবজি আবাদ করেছে। ফলে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্টের শঙ্কায় তাদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
আমরুল গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মোতালেব বলেন, আবারও হঠাৎ করে বন্যা আসবে এমন ধারণা আমাদের ছিল না। আমার ৭ বিঘা ধান পানিতে তলাইয়া গেছে। আমি এনজিও থেকে ঋণ করে ধানের আবাদ করেছি। আমার মতো অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বাকী ও ঋণ নিয়ে ধানের আবাদ করেছেন।
দাড়িগাছা গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে অতিবৃষ্টিতে তার এক বিঘা জমির প্রায় সবগুলো বেগুন গাছ পচে যাচ্ছে । অতিবৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় আমাদের অঞ্চলের অধিকাংশ সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, প্রথম দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কমিউনিটি বীজতলায় উৎপাদিত রোপা আমন চারা দিয়ে সহযোগিতা করেছি। যেসব রোপা আমন ও সবজি জমি পানি নিমজ্জিত এমন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি প্রণোদনা জন্য তালিকা করে অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিচ্ছি। বন্যা পানি সরে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবি ফসল গম, ভুট্টা, ডালজাতীয় ফসল বীজ দিয়ে সহযোগিতা কর হবে।