কেউ ভাত রান্না করছেন, আবার অন্য ডেকচিতে রান্না হচ্ছে মুরগির মাংস। সময় মতো পানিবন্দি মানুষের মধ্যে যাতে খাবার পৌঁছানো যায়, চলছে সেই তোড়জোড়। ২৮ সেপ্টেম্বর ভোরে এমন চিত্রই দেখা গেলো সৈয়দপুর ইসলামিয়া স্কুলে। পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকারের নির্দেশে পানিবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়াতে এমনি আয়োজনে ব্যস্ত তারা। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন পৌর মেয়র। সেখান থেকেই পানিবন্দিদের পাশে দাঁড়ালেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার। টানা চারদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানিবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া সৈয়দপুর পৌর এলাকার মানুষজনের মধ্যে শুকনো খাবার, খিচুরি ও মাংস বিতরণ করেছেন তিনি। পৌর মেয়রের নির্দেশে পৌর এলাকার হাওয়ালদারপাড়া হাতিখানা, মুন্সিপাড়া, নয়াবাজার, বাঁশবাড়িসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানিবন্দিদের মধ্যে রোববার থেকে খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। ওয়ার্ডেও কাউন্সিলরসহ মেয়রের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করছেন। মোবাইল ফোনে পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার জানান, ভারী বর্ষণে সৈয়দপুরের অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী। যথাসময়ে তাদের কাছে খাবার পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি এবং পৌর পরিষদকে তাদের পাশে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজও হচ্ছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হাকিম জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অঞ্চলে ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরে এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার জানান, সৈয়দপুর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খড়খড়িয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সৈয়দপুর শহর রক্ষা বাঁধ। বাঁধ রক্ষার্থে এরই মধ্যে দুর্বল স্থানে ১০০ জিও ব্যাগ বসানো হয়েছে।