আমতলী সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেণীর ভর্তিতে অনলাইন এবং ম্যানুয়াল পদ্ধতির ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করোনাকালীন মহা দুর্য়োগে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়। ভর্তি কার্যক্রম শুরু থেকেই আমতলী সরকারী কলেজে কর্তৃপক্ষ নানা ফির অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ভর্তি করে আসছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের নোটিশে উল্লেখ আছে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে সর্বসাকুল্যে ১ হাজার টাকা। কিন্তু আমতলী সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি ১ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন ফির নামে ২ হাজার ৭’শ ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ বোর্ডে টাকা জমা দেয়ার নির্দেশনা নেই। কিন্তু এ বাবদও টাকা নিয়েছেন। আমতলী সরকারী কলেজে আসন সংখ্যা ৪’শ ২০ টি। অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতিতে ওই আসন সংখ্যা পুরণ হলেও আর্থিক লাভবানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বোর্ডের নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মানিকঝুরি গ্রামের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী জান্নাতী জানান তার নিকট থেকে ভর্তিতে সেশন ফি বাবদ ১ হাজার, ফরম বাবদ ৫শ’ ও বোর্ডের ফির নামে আরোও ১২শ’ ৫০ টাকা রেখেছেন। একই কথা বলেন, গুলিশাখালী গ্রামের তানিয়া ও সহিদুল নামের দুই শিক্ষার্থীা বলেন, আমাদের নিকট থেকে ভর্তি বাবদ ২৭ শ’ টাকা রেখেছেন। নাম প্রকাশে আরো অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হয়রানি করে টাকা আদায় করেছেন। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মো. মেহেদী, সুজন, নাজমুল ও স্বপন বলেন, ৪ হাজার ২’শ ৫০ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিছু টাকা কম দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা নেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, করোনাকালিন সময়ে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে কম টাকা আদায়ের নির্দেশ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা না মেনে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
আমতলী সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বোর্ডের নির্দেশনার বাইরে কোন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়নি। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।