ভোলার তজুমদ্দিনে বিএনপি’র পকেট কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা যায়, বিএনপির নেতাকর্মিদের কিছু না জানিয়ে হঠাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের বাসায় বসে জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি, আবুল কালাম নিরব সাধারণ সম্পাদক ও রুহুল আলম সিকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪নং চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মিদের বাদ দিয়ে একটি পকেট কমিটি ঘোষনা করেন। কমিটি ঘোষনার সংবাদ চাঁচড়া ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে ত্যাগী নেতাকর্মিদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এলাকায় তেমন একটা থাকেন না ঢাকায় থাকেন। কমিটি ঘোষনার পর তিনি এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সভাপতি ঘোষনা করেন। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মিদের মাঝে আরো ক্ষোভ দেখা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত ৮ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলসিকদার বাজারের উত্তর মাথায় নুরউদ্দিনের চায়ের দোকানে বসলে ত্যাগী নেতাকর্মিরা কমিটি গঠন সম্পর্কে তার কাছে জানতে গেলে তিনি নেতাকর্মিদের ধাক্কা মারেন। একপর্যায়ে দুগ্রুপের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে দুগ্রুপকে দুদিকে সরিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে মন্ত্রি মহোদয় চাঁচড়া বিএনপির সভাপতি করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিটি ঘোষনা করেন। সে-সুবাদে আমি এলাকায় অবস্থান করছি। গতকাল মঙ্গলসিকদার বাজারে গেলে নোমান, নুরে আলাম, জসিম মেম্বার, নুরউদ্দিন ও জসিমের নেতৃত্বে ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।
নুরউদ্দিন জানান, সুবিধাবাদী ও ঢাকায় অবস্থান করা নেতাদের দিয়ে কমিটি করায় ত্যাগী নেতাকর্মিদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ে। জাহাঙ্গীর বাজারে আসলে নেতাকর্মিরা তার কাছে কমিটি বিষয়ে জানতে গেলে সে তাদের সাথে অশোভন আরচণ করলে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরো অভিযোগ করেন গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাহাঙ্গীর ধানের শীষের প্রার্থী হয়েও তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন যে কারণে সে মাত্র ১৫৯ ভোট পেয়ে জামানত হারান। তিনি প্রশ্ন রাখেন চাঁচড়া ধানের শীষের মাত্র ১৫৯ ভোট আছে?।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, চাঁচড়া ইউনিয়নের কমিটি গঠন বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ আলোচনা হয়েছে। এখনো কোন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে চাঁচড়া হাতাহাতির যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।