খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেছে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আবদুল মজিদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পূর্বেই বিএনপির প্রার্থী আবদুল মজিদ ও তার সঙ্গীয়দের উপর আলমতলায় আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করে। এরপর ৮অক্টোবর গড়ইখালীর পাতড়াবুনিয়ায় জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল আলম পিন্টুর উপর, ৯অক্টোবর পাইকগাছা জিরো পয়েন্টে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হুদা মিন্টু, রুহিন ও ওয়াদুদের উপর হামলা করে। ৪অক্টোবর সোলাদানার ভিলেজ পাইকগাছায়, ৬ অক্টোবর গদাইপুর চরমনই নামকস্থানে ধানের শীষের প্রচার মাইক ভাংচুর করে। সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গড়ইখালী, লস্কর, চাঁদখালী, হরিঢালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। ২০ অক্টোবর নির্বাচনের দিন কেউ বিএনপির এজেন্ট হলে নির্বাচনের পরে তাদেরকে বাড়ী-ঘর জালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ায় তিনি তীব্র নিন্দা জানান। বিষয়টি দেখভালের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। এ ব্যাপারে থানা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সংগঠিত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, অ্যাড. জিএ অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, সবুর, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, শেখ আঃ রশিদ মনিরুজ্জামান মন্টু, আবু হোসেন বাবু সামছুল আলম পিন্টু, বাপ্পী ও এসএম এমদাদুলহক প্রমুখ।