সুলতান মিয়া (৫৫) পেশায় ছিলেন পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী। শেরপুর জেলার বিভিন্নস্থানে তিনি প্রতি মাসে প্রায় দুই-আড়াই লাখ টাকার ডিম সরবরাহ করতেন। যার আয় থেকে তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই জীবন যাপন করতেন। পাইকারি ডিমের ব্যবসা
করে তিনি তার এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছন। আরেক ছেলে কলেজে পড়ছেন।
৩০ বছর যাবৎ তিনি এ পেশায় নিয়োজিত থাকার পর হঠাৎ করোনা ভাইরাসের প্রভাব তার ব্যবসার উপর পড়ে। এতে প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তার পাইকারি ডিমের ব্যবসা। র্দীঘদিন ব্যবসা না থাকায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিভাবে সংসার চালাবেন এ নিয়ে তিনি বিপাকে পড়ে যান। পরে বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করেন তিনি। প্রথমে হোটেল কর্মচারীর চাকরী নেন। এখানে সুবিধা করতে না পারায় তিনি চাকরী ছেড়ে দেন।
গত রোজার সময় তিনি ইফতারির টং দোকান বসিয়ে বুট, মুড়ি, বেগুনি ,চপ বিক্রি শুরু করেন। এতে তেমন আয় না হলেও তিনি হাল ছাড়েননি। ঈদের পর তিনি পুনরায় খরমপুর এলাকায় তার ওই দোকানটিতে আরো কিছু খাবার সংযোজন করে ব্যবসা চালু করেন। তিনি রুটি ,সিঙ্গারা, পুড়ি, চা বানিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। বর্তমানে ডিম ব্যবসার পরিবর্তে রুটি-সিঙ্গারার দোকান বসিয়ে পেশা পরিবর্তন করে এ ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
সুলতান মিয়া জানান ,করোনাভাইরাসের প্রভাবে তার পাইকারি ডিম ব্যবসায় প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সংসার চালাতে তিনি বাধ্য হয়েই পেশা পরিবর্তন করে রুটি-সিঙ্গারার দোকান দিয়েছেন। তার দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ শ টাকা বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে। যার লাভ দিয়ে তিনি সংসার চালাচ্ছেন। তার দোকানে কোন কর্মচারী নেই। তাকে সহযোগিতা করে থাকেন তার স্ত্রী ও ছেলে।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে পুনরায় পাইকারি ডিমের ব্যবসায় ফিরে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, পাইকারি ডিমের ব্যবসা তার প্রায় ৬-৭ লাখ আর্থিকভাবে টাকা ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে হাতে ব্যবসা করার মতো কোন পুজি নেই। এখনও বলা যাচ্ছে না পাইকারি ডিমের ব্যবসায় ফিরে যাবার বিষয়ে। তবে তিনি চেষ্টা করবেন পুনরায় পাইকারি ডিমের ব্যবসায় ফিরে যেতে।