ইউরোপে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ফ্রান্সে একদিনেই ৩০ হাজারের বেশি নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে দেশটির সরকার শনিবার থেকে প্যারিস ও আরও ৮টি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে। তার আগেই দেশটিতে একদিনে শনাক্ত রোগীর এ উল্লম্ফন দেখা গেল।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ফ্রান্স নতুন ৩০ হাজার ৬২১ জনের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত করার কথা নিশ্চিত করেছে; আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৫৯১।
এমন পরিস্থিতিতে ‘জীবন বাঁচাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ অত্যাবশ্যক’ বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কেবল ফ্রান্সই নয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশও। মহাদেশটির লাখ লাখ মানুষকে এখন কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে।
গণহারে শনাক্তকরণ শুরুর পর থেকে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের পাশাপাশি পোল্যান্ড ও ইতালিও একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী পেয়েছে।
একইদিনে রাশিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৮৬ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। মহামারী শুরুর পর দেশটিতে আরও কখনোই একদিনে এতজনের মৃত্যু হয়নি।
কোভিড-১৯ এ ইউরোপে এখন প্রতিদিনই গড়ে এক হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডব্লিউএইচও মহাদেশটির বিভিন্ন দেশের সরকারকে ‘আরও পদক্ষেপ নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাজধানী