২০০৮ সালে রোনালদিনহো ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার পর বার্সেলোনার প্রতীক হয়ে উঠেছেন লিওনেল মেসি। চিরশত্রু রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে তাকে দেখার কথা চিন্তাও করা যায় না। তবে মাদ্রিদের ক্লাবটি কিন্তু হাত বাড়িয়েছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়কের দিকে। ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিল তারা। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। ইটালিয়ান সংবাদিক জিয়ানলুকা ডি মারজিওর লেখা বইয়ে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। সময়টা ২০১৩ সাল। রিয়ালের সাদা জার্সিতে মেসিকে কল্পনা করা না গেলেও স্বপ্নটা দেখেছিলেন লস ব্লাঙ্কোস সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ডি মারজিওর লেখা বই ‘গ্র্যান্ড হোটেল কালসিয়োমেরকাতো’য় বর্ণনা করা হয়েছে ওই ঘটনার। পেরেজ তখনই প্রস্তাবটা করেছিলেন যখন ইউরোপিয়ান ফুটবলে আবারও রিয়ালের আধিপত্য এবং বার্সেলোনায় নিষ্ফলা সময় শুরু হয়েছে। মেসিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর। ডি মারজিও লিখেছেন, ‘২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ প্রস্তাবটা করেছিলেন। আর্জেন্টাইনের জন্য তার প্রস্তাব ছিল ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর। ওই অর্থ আসলে এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা ছিল।’ প্রস্তাব পাওয়ার পর উত্তর জানাতে এতটুকু দেরি হয়নি মেসির। ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর জবাবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে, “মেসির জবাব ছিল ভীষণ কাটখোট্টা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আমি রিয়াল মাদ্রিদে যাব না, তোমরা তোমাদের সময় নষ্ট করো না।” রিয়ালের মাদ্রিদের করা এই প্রস্তাব ২০১৮ সালে সামনে এসেছিল ফুটবল লিকসের মাধ্যমে। যদিও ডি মারজিওর বইয়ে উঠে এসেছে বিস্তারিতভাবে। শুধু যে রিয়াল মেসির দিকে হাত বাড়িয়েছে তা নয়, ইউরোপের প্রায় সব বড় ক্লাবই তাদের দলে সময়ের সেরা খেলোয়াড়কে পাওয়ার চেষ্টা করেছে। গ্রীষ্মের দলবদলের আগেই যেমন ইন্টার মিলানের সাবেক সভাপতি মাসিমো মোরাত্তির দাবি করেন, মেসিকে ইন্টারে আনা তার স্বপ্ন। এ ছাড়া চেলসি, প্যারিস সেন্ত জার্মেই ও ম্যানচেস্টার সিটিও আগ্রহ দেখিয়েছে। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক কিন্তু এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে ন্যু ক্যাম্পে ছাড়তে চেয়েছিলেন। অনেক নাটকের পর থেকে গেলেও ২০২১ সালের জুনে চুক্তি শেষ হওয়ার পর বার্সেলোনার জার্সিতে তাকে আর দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে যথেষ্ট। তাছাড়া ম্যান সিটি এখনও হাত বাড়িয়ে আছে।