জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার গ্রামগ্রামান্তর ঘুরে রেড়াচ্ছেন জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা। নির্বাচনী প্রচারণায় বাংলাদেশআওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিরনেতারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারেযাচ্ছেন। ভোটাররা মনে করেন সঠিক ভোট হলে এবার নুরুল হক আফিন্দি, ইকবাল আল-আজওদ ওমাসুম মাহমুদ তালুকদারের মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে ত্রিমূখী।জামালগঞ্জ উপজেলা উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য প্রয়াতউপজলো চেয়ারম্যানের পুত্র জামালগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল আল আজাদ,আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদেরচেয়ারম্যান চেয়ারম্যানফয়জুল আলম তালুকদার মোহন, বিএনপির দলীয় প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাচনা বাজার ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিতচেয়ারম্যান নুরুল হক আফিন্দী, বিএনপিরবিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সহ স্থানীয় সরকারিবিষয়ক সম্পাদক মাসুম মাহমুদ তালুকদার। জয়ের ব্যাপারে তারা সবাইআশাবাদী।আওয়ামী লীগের মনোনয়নথেকেই দলটি দ্বিধাবিভক্ত। জামালগঞ্জ উপজেলাপরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের ভোটে ৫৭ ভোট পেয়েপ্রথম হন সুনামগঞ্জ জেলাআওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম। ২৬ ভোট পেয়েদ্বিতীয় স্থান লাভ করেন সাংবাদিক আকবর হোসেন, ২৩ ভোট পেয়ে৩য় স্থান লাভ করেন জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিজেন্দ্র লাল দাস, প্রয়াত চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদের ছেলেইকবাল আল আজাদ ৮ভোট, মেয়ে শাহানা আল আজাদ ২ভোট এবং মাজহারুল ইসলাম রোকন ২ ভোট পান।আরেক প্রার্থী গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু কোন ভোট পাননি।২১ সেপ্টেম্বর জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় নেতারা ইকবাল আল আজাদকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতকে মূল্যায়ণ না করে প্রার্থীচূড়ান্ত করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে। ভোটাররা মনে করেন জামালগঞ্জদলীয় প্রভাবের চেয়ে আঞ্চলিকতা ও সাম্প্রদায়িকতা অনেক শক্তিশালী। সে হিসেবে নুরুলহক আফিন্দি, ইকবাল আল আজাদ ও মাসুম মাহমুদ তালুকদার নির্বাচনী ভোটের মাঠে সমানেসমানে অবস্থান করছেন। এবারের নির্বাচনে রেজাউল করিম শাশীমের ভোটাররা যার দিকে ধাবিতহবেন ভোটের পাল্লা তার ভারী হবে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল হক আফিন্দী (ধানেরশীষ) বলেন, জামালগঞ্জের মানুষের সকল অধিকারআদায়ের আন্দোলনে আমি পাশে ছিলাম, আছি থাকবো। আমার বিশ্বাস সুষ্টু নির্বাচন হলে জামালগঞ্জেরমানুষ আমাকে বিজয়ী করবে। ‘আমিবিশ্বাস করি প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবাল আল আজাদ (নৌকা)বলেন, আমার বাবা সারাজীবন মানুষের পাশে ছিলেন। সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় তিনি বার বার নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বাবার দেখানো পথে হাঠতেচাই। মানুষ আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ কছে। বিজয়েরব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। সতন্ত্র প্রার্থী মাসুমমাহমুদ তালুকদার (আনারস) বলেন, আমার প্রয়াত বাবা সামছুল আলম তালুকদার ঝুনু মিয়াও ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার ছোট ভাই সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার সাজিদও জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। ‘আমি আমার গ্রাম-এলাকাবাসীসহ সকল মুরব্বিদের মতামত ও অনুমিত নিয়েইনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী।যুবসমাজ আমার পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। আমি বিশ্বাস করি সুষ্টু নির্বাচন হলে জামালগঞ্জেরমানুষ আমাকে নির্বাচিত করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আলম মোহন (ঘোড়া) বলেন, আমার পিতা বাবাপ্রয়াত আবুল মনুসর লাল মিয়া ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমি জামালগঞ্জ সদরইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আশা করি এবার জামালগঞ্জের মানুষ আমাকে উপজেলাচেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বললেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। কোন প্রার্থী এখনো কোন অভিযোগ জানান নি। আমরা আশা করছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
প্রসঙ্গত, উপজেলাপরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ গত৯ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুত বরণ করলে চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণাকরে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০ অক্টোবর এইউপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ৪৬ টি কেন্দ্রেঐ দিন এক লাখ ১৭হাজার ৪শ ভোটার ভোটপ্রদান করে তাদের নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনকরবেন।