জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম সাত্তার এবং তার প্রথম স্ত্রী’র বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তারের ২য় স্ত্রী বকশীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম। ১৬ অক্টোবর রাতে বকশীগঞ্জ থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুজনেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনৈতিক সূত্র ধরে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার। জাহানারা বেগম তাকে তার প্রথম স্ত্রীর কথা বলিলে ইউপি চেয়ারম্যান বলে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তারের সাথে রেজি: কাবিন মূলে প্রতিবেশি ধানুয়া কামালপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্বা আবুল হোসেনের মেয়ে জাহানারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে আপত্তি করায় নজরুল ইসলাম সাত্তার জাহানারা মারপিট করে এবং একপর্যায়ে তালাক দেয়। পরে জাহানারা বেগম জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সাত্তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের উভয় পক্ষ আপস মিমাংসা হয়ে চলতি বছরের ১৮ মার্চ রেজি: কাবিন মূলে আবারও জাহানারকে বিয়ে করেন নজরুল ইসলাম সাত্তার।
দ্বিতীয় দফায় বিয়ের পর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার আবারও মোটা অংকের যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না দেওয়ায় জাহানারাকে ১৩ অক্টোবর বেদম মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। চিকিৎসা শেষে ১৬ অক্টোবর জাহানারা বেগম স্বামী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার ও তার প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৭, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী /০৩) এর ১১(গ)/৩০)।
মামলার দায়েরের পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার পলাতক রয়েছে। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার সাথে যোগাযোগ করা এবং মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম সম্রাট মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।