আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘাইছড়িতে জেএসএস দুই গ্রুপের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপী বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের রতন চাকমা নামে একজন নিহত হয়। নিহত রতন চাকমা বাঘাইছড়ি জেএসএস (এম এন লারমা) সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি কলেজ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বাঘাইছড়ির বাবু পাড়া এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় বাঘাইছড়ি এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির বাবু পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ী দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধেও ঘটনা ঘটে চলেছে। আজ দুপুরে বাঘাইছড়ি বাবুপাড়ায় জে এস এস (সন্তু) ও জে এস এস (এম এন লারমা) দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধের জে এস এস এম এন লারমার গ্রুপের সদস্য রতন চাকমা নিহত হয়।
জেএসএস এমএন লারমা দলের সাধারন সম্পাদক জোসি চাকমা বলেন, আজ দুপুরের দিকে বাবু পাড়ায় মোটর সাইকেল যোগে ৩ জন সশস্ত্র জেএসএস (সন্তু) কর্মীরা রতন চাকমাকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি বর্ষন করে। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। এতে ঘটনাস্থলে রতন চাকমা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে, এই হত্যাকান্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছেন।
সুদর্শন চাকমা আরো জানান, দুপুর দুইটার দিকে উপজেলা সদরের বাবুপাড়া এলাকায় জনসংহতি সমিতির একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হঠাৎ এসে রতন চাকমাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ উদ্দিন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরে বাঘাইছড়ির বাবু পাড়া এলাকায় আঞ্চলিক দুটি রাজনৈতিক দলের মাঝে যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আমরা এখনো পর্যন্ত ১ জন মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি গেলেই বিস্তারিত বলতে পারবো।