বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বগুড়ার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন ও যুগ্ম সম্পাদক তানভিরসহ ৭জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গোসাইবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তার বয়স ১৪ বছর ৭ মাস। ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তানভির আহমেদ প্রেমের প্রন্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ওই ছাত্রীকে নানা রকম ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেছে তানভির। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবাকে অবগত করা হয়। এতে তানভির ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যান্যের সহযোগীতায় গত ৫ অক্টোবর সকালে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করেছে।
ওই স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে আমার মেয়ে গোসাইবাড়ী সাতমাথা এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়ালেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সে গোসাইবাড়ী ঈদগাহ মাঠ এলাকায় পৌছুলে তানভির ও তার লোকজন অস্ত্রের মুখে জোড়পূর্বক একটি সিএনজি তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধারের বিভিন্ন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে গত ৮ অক্টোবর বগুড়ার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ওই মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তানভির আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন, তাঁর ভাই রিপন মাহমুদ, তানভির আহমেদের বড় ভাই লিখন আহমেদসহ মোট ৭জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তানভির আহমেদ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন এ বিষয়ে বলেন, তানভির আহমেদ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। ওই স্কুল ছাত্রী ও তানভির মুলত প্রতিবেশী। তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা শুনেছি। এক প্রশ্নের জবাবে আবু সালেহ স্বপন বলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মামলার বাদীকে ভুল বুঝিয়ে ওই আমাকে ও আমার ভাইকে জড়ানো হয়েছে।