আসন্ন ভোলার দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ থেকে দুই মেয়র মনোয়নয় প্রত্যাশী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা নাগাদ পৌরশহরে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা দৌলতখান হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনায় পৌর শহরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আট রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার পৌরসভার বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার ও মেয়র প্রার্থী হামিদুর রহমান টিপুর সমর্থকরা দৌলতখান বাজারে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষে বাঁধে।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হামিদুর রহমান টিপু জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোলা-২ আসনের এমপি দৌলতখানে আগমন উপলক্ষে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষ হয়ে এমপি আলী আজম মুকুলকে শুভেচ্ছা জানাতে আসে। এ সময় বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার ও তার জামাতা কামরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকের নিক্ষেপ করে। এতে করে তাদের তিনজন লোক গুরুত্বর আহত হয়। এরপর জাকির হোসেন তালুকদারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) হকিস্টিক ও লাটিসোঠা নিয়ে তাদের লোকজনকে ধাওয়া করে। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম খাঁন আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।
তিনি আরও জানান, নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য আমি অনুরোধ জানিয়েছি। কিছু দুস্কৃৃতিকারীরা চাচ্ছে একটা গ-গোল বাঁজিয়ে দৌলতখান বাজার লুটপাট হোক। সেই লুটপাটের সুযোগ হবেনা ইনশাআল্লাহ। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
অন্যদিকে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকির হোসেন তালুকদার জানান, একটি মিছিল সহকারে পৌরশহরের উত্তর মাথা থেকে দক্ষিণ মাথায় আসার সময় হামিদুর রহমান টিপু, মিছিল নিয়ে এসে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে করে তার দশজন লোক আহত হয়। আহতদের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে টিপুর লোকজন তাদের পথ-গতিরোধ করে।
তিনি আরও জানান, সমর্থকরা কোনরকম জামালে যাতে না করে, সেজন্য আমি নিষেধ করি। তখন তারা চলে যায়। এরপর দক্ষিণ দিক থেকে হঠাৎ করে বিক্ষিপ্তভাবে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমি এঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। তদন্ত পূর্বক এঘটনার সুবিচার দাবী করেন তিনি।
দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চলকালীন পৃথক পৃথকভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আট রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।