পণ্যবাহী জাহাজ ও কার্গো শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘট তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে। এতে ফরিদপুর নৌবন্দরের কার্যক্রম অবচল অবস্থায় রয়েছে।
গত সোমবার মধ্যরাত থেকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফার দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে একেবারে অচল ফরিদপুরের একমাত্র নৌ-বন্দর।
একদিকে করোনা তার ওপর আবার নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট সব মিলিয়ে কর্মহীন বন্দরের কয়েক হাজার কুলি ও ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা। গত তিন দিন কাজ না পেয়ে বসে আসে তারা। অন্যদিকে বন্দরের পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে ১২টি লাইটার জাহাজ ও বেশ কয়েকটি কার্গো জাহাজ। এতে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিটনের বেশি ইউরিয়া সার ও গম বন্দর থেকে খালাস করা যাচেছ না। এছাড়াও বন্দরের আসা কয়লা, সিমেন্ট, চালসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা ছোট বড় অনেক কার্গো জাহাজ পন্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
বন্দরে কুলি শ্রমিক সরদার শরীফ হোসেন জানান, একদিকে করোনা তার ওপর আবার ধর্মঘট। আমাদের শ্রমিকরা গত তিন দিন কাজ ছাড়া বসে আছে।
এই বন্দরে ট্রাক চালক আবুল হোসেন জানান, সার নেওয়ার জন্য ঘাটে এসেছি, কিন্তু ধর্মঘট থাকার কারণে তা নিতে পারছি না। বসে থাকতে হচ্ছে। এই ধর্মঘটের সমাধান করা দরকার।
ফরিদপুর নৌন্দরে শুল্ক আদায়কারি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে। সরকার প্রতিদিনই রাজস্ব হারাচ্ছে।