মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর ( ২৯ আশ্বিন-১৯ কার্তিক) পর্যন্ত ২২দিন প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তবে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ট্রলার প্রতি দৈনিক তিন/চার হাজার টাকা করে নিয়ে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে।
সরোজমিনে গজারিয়া উপজেলার সীমানাধীন মেঘনা নদীর ইসমানির চর,গোয়ালগাও,রঘুরচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অবাধে ইলিশ ধরছেন শত শত জেলে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তারা মাছ ধরছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান ট্রলার প্রতি দৈনিক তিন/চার হাজার টাকা করে নিয়ে ইলিশ ধরার অনুমতি দিচ্ছে নৌ পুলিশ। নৌ-পুলিশের চাহিদা মত যারা টাকা দিতে পারছে না কেবল তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। জেলেরা জানান, সরকারিভাবে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল অধিকাংশ জেলেই সরকারি চাল পাননি, মহাজনের কিস্তি থাকায় বাধ্য হয়ে নদীতে নেমেছেন তারা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল হান্নানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে তিনিও এমন কিছু কথা শুনেছেন তবে এখনো পর্যন্ত কোন জেলে তার কাছে অভিযোগ করেনি। নৌ-পুলিশের কতিপয় কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসলাম হোসেন শেখের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নৌ-পুলিশ বিশেষায়িত একটি বাহিনী তাদের ব্যাপারে কথা বলার এখতিয়ার তার নেই। তিনি সবসময় কোস্টগার্ডের সাথে অভিযানে যান আর নৌ-পুলিশ আলাদাভাবে তাদের কার্যক্রম চালায়। তাদের অভিযানের বিষয়ে তার কাছে বিশেষ কোনো তথ্য নেই। নৌ পুলিশ জেলেদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে এমন তথ্যও তার কাছে নেই।
এদিকে এত চেষ্টার পরও কেন জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না জানতে চাওয়া হয় গজারিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার খন্দকার মনিরুজ্জামানের কাছে, তিনি জানান বিষয়টি তাদেরকে ভাবাচ্ছে, নির্দিষ্ট খবরের পর অভিযান চালাতে গেলে দেখা যায় ওই স্থানে জেলেরা নেই। এ ক্ষেত্রে তাদের অভিযানের খবর আগ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে এমনটা সন্দেহ হচ্ছে তার।