করোনাভাইরাস নিয়ে শেরপুরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। গত ৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো শেরপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই রোগী সনাক্ত হয়েছিল। সে সময়ের করোনার সচেতনতার পরিস্থিতি ও বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। জেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সচেতনতা আগের চেয়ে কমেছে। বেশীরভাগ সাধারণ মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে শহরের নয়আনী বাজার সড়কে গিয়ে দেখা যায় রাস্তায় চলাচলকারী বেশীরভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে। এ সময় মাস্ক না পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নয়আনী বাজার এলাকার বিপুল জানান, তিনি ভুলে বাসায় মাস্ক রেখে এসেছেন।
জেলার করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. মোবারক হোসেন জানান, শেরপুর জেলা হাসপাতালে কোনো করোনা রোগী ভর্তি নেই। পরীক্ষা করতে আসা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৯৯ জন। হাসপাতালের আইসোলেশনে কোনো করোনা রোগী নেই। এ পর্যন্ত শেরপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯৪ জন। সুস্থ্যতার সংখ্যা ৪৬৭ জন ও মৃতের সংখ্যা ৯ জন।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. খাইরুল কবীর সুমন জানান, কারোনার জন্য সরকার যে পিপিই ও মাস্ক দিয়েছে চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা এখনও তা পাচ্ছেন। এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষাদ্রব্য মানসম্পন্ন এবং তা মোটামুটি মজুদ রয়েছে।
শেরপুরে সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তনিমা আফ্রাদ বলেন, করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল করছে, যা একেবারে কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষদের সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক ব্যাবহারের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।