কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর জামিনে মুক্ত হলেন। সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ সময় তাকে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও কলা-কুশলীরা বরণ করে নেন। মুক্ত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচিত চলচ্চিত্রের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিনের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণএ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক টোকন ঠাকুরকে জামিনের এই আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুর একটা ১৫ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় টোকন ঠাকুরকে। এরপর তাকে হাজতখানায় রাখা হয়।
উল্লেখ্য, রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে নিউমার্কেট এলাকা থেকে টোকন ঠাকুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টোকন ঠাকুর ২০১৩ সালে কথাশিল্পী শহীদুল জহিরের গল্প ‘কাঁটা’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পান। ৩৫ লাখ সরকারি অনুদানের মধ্যে ১৩ লাখ টাকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তুলে নিলেও ওই চলচ্চিত্রের কোনও কাজ করেননি অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে টোকন ঠাকুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্র জানায়, ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৩ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে টোকন ঠাকুরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। সেই ওয়ারেন্টের কারণেই রোববার তাকে গ্রেফতার করা হয়।