আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্য দিবালোকে দোকান ঘর ভাংচুর ও মালাামল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে কুল্যার মহাজনপুর বাবলুর মোড় নামক স্থানে নারকীয় এঘটনা ঘটে।
মহাজনপুর গ্রামের ছহিল উদ্দিন সরদারের পুত্র মোর্ত্তাজুল ইসলাম বাবলুর মোড়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর যাবৎ দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা করে আসছেন। তার পিতা ছহিল উদ্দিন ২০/৫/৬৭ তাং ২১৩০ নং কোবাল দলিলমূলে বাবর আলি দাই ও ফেলি বিবির নিকট থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখলিকার ছিলেন। এবং দখলীয় জমিতে খাল-পুকুর ও ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি দোকান ঘর করে ব্যবসা করে আসছেন। প্রতিপক্ষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে দোকান থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালালে বাধা দিলে তাকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং স্বাক্ষীদের সম্মুখে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৫ ধারামতে প্রতিকার প্রার্থনা করে পি-৬১৫/২০ (আশাঃ) মামলা করলে ওসি আশাশুনিকে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে প্রকৃত দখলদার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ করা হয়। আশাশুনি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই মোকাদ্দেস হোসেন আদালতের নির্দেশে গত ৫ অক্টোবর উভয় পক্ষকে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে এবং ২৫ নভেম্বর’২০ তাং আদালতে হাজির হয়ে ২য় পক্ষকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ করেন। কিন্তু ২য় পক্ষের দাদপুর গ্রামের আবুল হোসেন, আবু ছালেক, বাবু, জাহিদ, আলাউদ্দিন, কেয়ামুদ্দিন, জুয়েল, সোহাগ, গোলাম, নজর উদ্দিনসহ স্থানীয় ও বহিরাগত ২০/৩০ জন মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে নালিশী জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। এবং দোকান ঘর ভেঙ্গে চুরমান করে পাশের পুকুর/খানায় নিয়ে ফেলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় তারা নারকীয় তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর ও দোকানের মালামাল বস্তায় ভরে লুটপাট করে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ী বলেন, তারা অনুমান ৩/৪ লক্ষ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।