নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের ডমুরুয়া হাজারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ৩বছর ৮মাস ১৪ দিন পর পূর্ন ময়না তদন্তের জন্য মোঃ হাসান প্রকাশ কালাইয়া (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন(পিবিআই)। বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডমুরুয়া হাজারী বাড়ির পারিবারিক কবরন্থান থেকে ওই লাশটি উত্তোলন করা হয়।
নোয়াখালীর এক্সিটিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকতার্ (পিবিআই) মোস্তাফিজুর রহমান, এসআই মোবারক, এসআই ফরিদ ও সেনবাগ থানার এএসআই সুফিয়ানের উপস্থিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় মামলার বাদি শহিদ উল্লাহ, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার বেলায়েত হোসেন, সমাজবেক এমএ মাজেদ মাসুদ সহ বিপিুল সংক্ষক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সুত্রে জানাগেছে,বিগত ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে ডমুরুয়া হাজারী বাড়ির শহিদ উল্লাহ বড় ছেলে মোঃ হাসান প্রকাশ কালাইয়া তাদের বাড়ি পাশ্ববর্তী ডিপ টিউভওয়েল (মটর ঘরে) ঘুমিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে একই এলাকার গোলাম রসুল, রাজন প্রকাশ রাজু, মহসিন ওই মটর ঘরে গিয়ে কালাইয়াকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মদ ক্ষেতে বলে। কালাইয়া মদ না খেয়ে তাদেরকে ঘর থকে বের হয়ে চলে যেতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কালাইয়ার মাথায় আঘাত করলে সে মারা যায়। পরবর্তীতে তারা লাশ ওই ঘরে রেখে পালিয়ে যায়।পরদিন সকালে তার মৃত্যুর সংবাদটি জানাজানি হলে পুলিশ লাশ উাদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এঘটনায় নিহত কালাইয়ার পিতা শহিদ ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত করে মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে। কিন্তু মামলার বাদী সিআইডির দাখিল করা রিপোর্ট মুনপুত না হওয়ায় সে আদালতে নারাজি দাখিল করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন (পিবিআই)ওপর ন্যাস্ত করলে তারা বুধবার তদন্তে প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ৩বছর ৮মাস ১৪ দিন পর ফরেনসিক টেষ্ট্রের জন্য লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে।