লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন এলাকায় যুবক সোহেলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করছে পুলিশ।এর আগে সোমবার রাতে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মোহন ডা. বাড়ীর সামনে তার উপর বখাটেরা হামলা চালিয়ে গুরুতর যখম করার পর ঢাকায় মৃত্যু হয় বলে দাবী করেন নিহতের পরিবার।
পুলিশ জানান,এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ৪ জনকে এজহারভুক্তসহ অঙ্গাত ২৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত সোহেল এর পিতা মো.স্বপন গাইন। রাতে রাকিব হোসেন চররমনী মোহন ইউনিয়ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত সোহেল চররমনী মোহন এলাকার মো. স্বপন গাইনের ছেলে। সোহেল পেশায় ছিলেন জেলেসহ তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইউছুফ ছৈয়ালের নাতি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান,সোহেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকা জুড়ে। উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে শোকে বিলাপ করছেন সোহেলের মা কুলসুমা বেগম।
নিহতের মা কুলসুমা বেগম তার সন্তান হত্যা বিচার দাবী করে জানান, ৮/৯ মাস পূর্বে তার বিয়ে হয় স্থানীয় হুমায়ুন মোল্লার মেয়ে লিমার সাথে। লিমা গর্ভবর্তী অবস্থায় আছে। এ ঘটনার পর থেকে খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পরে সোহেলের স্ত্রী লিমা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,২৬ অক্টোবর রোববার প্রতিবেশী রুমানা-সুমনের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থানীয় অনুরোধে চররমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল এর ছেলে সুফিয়ান নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠান চলাকালে পার্শ্ববর্তী মজুচৌধুরীর হাট এলাকা থেকে ১৫/২০ জনের একদল বখাটে যুবক এসে উৎপাত শুরু করে। একপর্যায়ে তারা অশ্লিল নৃত্যানুষ্ঠান ও মাদক গ্রহণ করে আপত্তিকর আচরণ শুরু করলে তাতে বাধা দেয় স্থানীয়রা। বাধা দেওয়অর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহেলের সঙ্গে একই এলাকার বিয়ে বাড়ীতে বখাটে যুবক সুমন, দিদার ও জুয়েলের সঙ্গে বাক বিতন্ডা হয়। পরে একপর্যায়ে সদর উপজেলার একই ইউনিয়নের লঞ্চঘাট মজুচৌধুরীহাট থেকে বাড়ী ফেরার পথে সোমবার রাত প্রায ৯ টার দিকে সোহেলের উপর সুমন দিদার গ্রুপ সশস্র হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ী পিটুতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর যখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তর্বরত চিকিৎসক তাকে মঙ্গলবার সকালে মৃত ঘোষনা করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে এজহারভুক্তসহ জনকে অঙ্গাত ২৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের পিতা। এদের একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামীদের পাকড়াও করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।