শেরপুরের বারমারী সাধু লিওর খ্রীষ্ট ধর্মপল্লীতে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) পালিত হবে ফাতেমা রাণীর ২৩ তম বার্ষিক তীর্থ। এবার তীর্থ উৎসব মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যেই শেষ করতে হবে।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের দুইদিনব্যাপী এ তীর্থ উৎসব পালিত হয়। এবার মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠানসুচী সংক্ষিপ্ত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র ছয় ঘন্টা অনুষ্ঠান পরিচালনা করার সিন্ধান্ত হয়েছে বলে তীর্থ উদযাপন কমিটিরি কো-অর্ডিনেটর রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র মাইকেল চিরান জানিয়েছেন।
তীর্থ উদযাপন কমিটির নিরাপত্তা সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার ফিদেলিস নেংমিঞ্জা জানান, সরকারীভাবে পাঁচ শত তীর্থযাত্রীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুমতি পাওয়া গেছে। অনুষ্ঠানসুচী অনুয়ায়ী শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় আলোক শোভাযাত্রা, সাড়ে এগারোটায় খ্রীষ্টযাগ, বেলা দুইটায় ব্যাক্তিগত প্রার্থনা ও বেলা তিনটায় শেষ আশীর্বাদ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো জানান, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকল তীর্থ যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর খ্রীষ্ট ধর্মপল্ল¬ীতে ১৯৯৭ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে এ তীর্থস্থল স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকেই প্রতিবছর এখানে তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে এবং প্রতিবছরই এ তীর্থে লোকসমাগম বা ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের নিয়ন্ত্রনে ১৪ টি ধর্মপল্লির মধ্যে শেরপুর জেলায় রয়েছে ২ টি ধর্মপল্লী। এরমধ্যে জেলার ঝিনাইগাতির মরিয়মনগর ধর্মপল্লী এবং নালিতাবাড়ি উপজেলার বারোমারি ধর্মপল্লী এ দুটি ধর্মপল্লীর মধ্যে মরিয়মনগরে ৫ হাজার এবং বারোমারীতে ৩ হাজারসহ মোট ৮ হাজারেরও বেশী রোমান ক্যাথলিক খ্রীষ্টান উপজাতি রয়েছেন বলে বারোমারী মিশন সূত্রে জানা গেছে।