দীর্ঘ ৯ বছর পর নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার ৫ নম্বর টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হলো। ওই নির্বাচনে ধানের শীষ ও নৌকা মার্কার প্রার্থীকে হারিয়ে আবার বিজয়লাভ করেছেন চশমা মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ ফকির। তিনি ধানের শীষ প্রাার্থী ছাইয়েদুর রহমানকে ৪ হাজার ৯শ ৮৬ ভোটে ও নৌকার প্রার্থী আবুল কাশেম শাহকে ২ হাজার ৩শ ৭৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ২৯ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভোট গ্রহণ চলে। গননা শেষে রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফতাব উজ্জামান। তিনি জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ও স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মছিরত আলী শাহ ফকির চশমা মার্কা নিয়ে ৮ হাজার ২শ ৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী আবুল কাশেম ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯শ ৯৮। বিএনপির প্রার্থী ছাইয়েদুর রহমান ভোট পান ৩ হাজার ২শ ৯৭ ভোট। নির্বাচনে সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটের ফলাফলে সংরক্ষিত ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ প্রাথীর মধ্যে হেলিকপ্টার মার্কা আরজু আারা বেগম ১ হাজার ২শ ৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী বক মার্কা শ্রী তৃপ্তি রানী প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ১০। সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ প্রার্থীর মধ্যে পেয়ারী আক্তার হেলিকপ্টার মার্কা ১ হাজার ৫শ ৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী তাল গাছ মার্কা আনোয়ারা বেগম প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৩শ ৬৮। সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫জন প্রার্থীর মধ্যে সূর্যমূখী ফুল মার্কা নুর বানু বেগম ১ হাজার ৯শ ৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী তালগাছ রেনু বেগম প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ১শ ২৯। অপরদিকে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩৯ জন। ফলাফলে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে টিউবওয়েল মার্কা মিলন চন্দ্র সরকার ৮শ ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী মোরগ মার্কা দীনেশ চন্দ্র রায় ৫শ ৯১ ভোট পান। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন প্রাথীর মধ্যে তালা মার্কা রুহুল আমিন ৮শ ৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী টিউবওয়েল মার্কা মিহির কুমার রায় প্রাপ্ত ভোট ৭শ ৫২। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন প্রাার্থীর মধ্যে টিউবওয়ের মার্কা হাবিবুর রহমান ৮শ ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থি বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা ধনঞ্জয় রায় প্রাপ্ত ভোট ৬শ ৮। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন প্রাার্থীর মধ্যে মোরগ মার্কা মাহমুদুল হাসান মাসুম ১ হাজার ১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আপেল মার্কা হেলাল উদ্দিন প্রাপ্ত ভোট ৭শ ১৬ । ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন প্রাথীর মধ্যে ৬শ ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ফুটবল মার্কা আবুল কালাম। তার নিকটতম প্রার্থী টিউবওয়েল মার্কা মোশারফ হোসেন প্রাপ্ত ভোট ৫শ ৪৮। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫জন প্রাথীর মধ্যে ফুটবল মার্কা আবু তালেব ৯শ ১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী আপেল মার্কা সানোয়ার হোসেন প্রাপ্ত ভোট ৫শ ৫৭। ৭ নম্বর ওযার্ডে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে তালা মার্কা মোকবুল হোসেন ৩শ ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী লাভ করেন । তার নিকটতম প্রার্থী টিউবওয়েল মার্কা শহীদুল ইসলাম প্রাপ্ত ভোট ৩শ ৩২। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫জন প্রাথীর মধ্যে ভ্যান গাড়ী মার্কা আসাদুল ইসলাম ৬শ ৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী ফুটবল মার্কা ছামিদুল হক প্রাপ্ত ভোট ৫শ ৪১। ৯ নম্বর ওযার্ডে ৪জন প্রার্থীর মধ্যে মোরগ মার্কা মুজিবর রহমান ১ হাজার ১শ ৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী টিউবওয়েল মার্কা ইদ্রিস আলী প্রাপ্ত ভোট ৫শ ৬৭। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৯শ ৯৭ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশ। উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৫ জুন সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এ ইউনিয়নে। এরপর মেয়াদ শেষ হলেও সীমানা জটিলতায় উচ্চ আদালতে মামলা চলায় নির্বাচন বন্ধ থাকে। আদালতে সেই মামলার নিস্পক্তি হলে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষনা করা হয়। ২৯ অক্টোবর সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন।