ষড় ঋৃতুর দেশ বাংলাদেশ। একেক ঋৃতুর সৌন্দুর্য একেক রকম। হেমন্তকালে মাঠে মাঠে বাতাসে ধানের দোলা, আমাদের মনকে ভরিয়ে দেয় গোলা ভরার আগাম বার্তা। ঋতু বৈচিত্রের পাশাপাশি এবার বর্ষা কাল অনেক আগে চলে গেলেও বর্ষন থেমে থাকেনি। হেমন্তকালেও বর্ষার জলে ধেয়ে এসেছে কচুরি পানা। এ পানাগুলো স্থির হয়েছে বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকায়। এমনি ভাবে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার পাটানোছা নামের এক বিলে জড়ো হয়েছে অনেক কচুরি পানা। আর সেই পানায় ফুটেছে অসংখ্য ফুল। যেনো প্রকৃতির খেয়ালে উঁকি দিচ্ছে ফুটন্ত পানা ফুল। আর এই ফুলের অপরূপ দৃশ্যতে বিমোহিত হচ্ছে সৌন্দর্য পিপাসুরা।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট সড়কের পাটানোছা বিলে দেখা যায় পানাফুলের স্বর্গীয় দৃশ্য। জানা যায়, পাকা সড়কের ধারে পাটানোছা বিলটি বছরের কয়েকমাস লোকচক্ষুর আড়ালে থাকে। সেটি বর্ষা পেরিয়ে শরতে এসে হাজারো মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। এ সময়টাতে বির্স্তীণ বিলজুড়ে ফুটে উঠে পানাফুল। জলে ভাসা এসব ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পথচারীরা দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। একই সঙ্গে ভ্রমণ পিপাসু কিংবা সৌন্দর্য পিপাসু যুবক-যুবতীরাও চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয় বিলের দিকে। যেনো প্রাণজুড়াতে সুদুর দৃষ্টি বিলের চারিদিকে। পানাফুলের রূপেভরা পাটানোছা বিলের সৌন্দর্যকে অনেকে ক্যামেরায় ধারণ করে তা ফেসবুকেও পোষ্ট দিচ্ছেন।
বিলটিতে আসা রিয়া আক্তার রিতু নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধুদের ফেসবুকে পানাফুলে স্বর্গরাজ্য দেখে এখানে না এসে পারলাম না। বিলজুড়ে নজরকাড়া ফুলের দৃশ্য দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হলাম।
এক শিক্ষক বলেন, প্রতি বছর শরৎকালে পানাফুলে সাজিয়ে উঠে পাটানোছা বিলটি। ফলে দুরের মানুষদের কাছেও বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে এ জায়গাটি। সম্প্রতি প্রতিদিন শত শত মানুষ ফুটন্ত ফুলের সৌন্দর্য্য দেখতে আসেন এ বিলে।