সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও উপজেলা পরিষদের পুকুর দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছে প্রভাবশালী মজিদ হাওলাদার। উপজেলার ইছাপুরা চৌরাস্তা সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম পার্শে ইছাপুরা মৌজার ৩নং খতিয়ানের ৫২৬ দাগের পুকুর এটি। সেখানে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মজিদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ৩৯ শতাংশ পুকুরের কিছু অংশের উপর ৫টি টিন সেট পাটাতন দোকন ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে কাগজে দেখা যায় জায়গাটির মালিক বাংলাদেশ সরকার পক্ষে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ।
এলাকাবাসী অনেকে জানান, আমরা শুনেছি এটি সরকারি জায়গা কিছুদিন আগে ইউএনও স্যার এসে দোকান ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়ে যান। বর্তমানে সেই ইউএনও বদলি হয়, এই সুযোগে মজিদ হাওলাদার নতুন কারে দোকান ঘর গুলোতুলে ভাড়া দিয়েছেন। তিনি এর আগেও সরকারি জায়গা নিজের দাবি করে মামলা করেন এবং সরকারের কাছে হেরে যান।
এ ব্যাপারে মজিদ হাওলাদার জানান, আমি হাইকোর্ট থেকে মামলাটি স্টে অর্ডার এনেছি। এই অর্ডারে দোকান তোলা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন দোকানের কাঠ গুলো পঁচে যাবে তাই তুলেছি। এছাড়াও এই সম্পত্তিতে আমার নিম্ন কোর্টের দুইটি অর্ডার আছে।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বিয়সটি অবহিত হয়েছি, উপজেলা পরিষদের জায়গাটি সে দখল করে রেখেছে। আগামী আইন-শৃঙ্খলা মিটিংএ আমি এ বিষয়ে কথা বলব এবং দ্রুতই জায়গাটি দখল মুক্ত করব।