আর মাত্র কয়কেদনি পর সাগর দ্বীপে আলোর কোলে বসবে রাস মেলা। হাজার হাজার পুর্নার্থীদের আগমনে মেলা হয়ে উঠবে উৎসবমুখর। এ বছর রাস মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন পশ্চমি বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের উদ্যোগ বনজ সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েেছ কঠোর নরিাপত্তা। ইতোমধ্যে সব রকমরে প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। ২৮ থেকে ৩০ নভম্বের র্পযন্ত- দুবলার চরে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা। করোনা ভাইরাসের কারণে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের এ বছর মেলায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবে বন বিভাগ। এই লক্ষে ২৫ নভেম্বর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। জানা গেছে, প্রতিবছর কার্ত্তিক অগ্রহায়ণরে শুক্লাপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পার্থিব জীবনের কামনা বাসনা পূরুনের লক্ষ্যে সুন্দরবনরে শেষ প্রান্তে- বঙ্গোপসাগরের তীরে দূবলার দ্বীপে এক নিবিড় পরিবেশে হাজির হয়। সেখানে র্সূযোদয়ের সাথে সমুদ্র স্নান করে পবিত্র হয়ে ভগবানের কাছে আরতী জানায়। অসংখ্য হিন্দু নর-নারী গঙ্গাসাগরের মেলার মত র্তীর্থস্থান মনে করে এই মেলায় উপস্থিত হন। এ বছর মেলায় যাওয়ার জন্য ৮টি নৌ-রুট নির্ধারন করা হয়েছে। রুটের বাহিরে কোন রকম প্রবেশ করতে পারবেনা পুর্নার্থীরা। ইতোমধ্যে রাস মেলাকে ঘিরে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের উদ্যোগে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৮ নভেম্বর বেলা ১১ টায় রেঞ্জ কার্যালয়ে সভায় সভাপতিত্বে করেন খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের ডিএফও ড.আবু নাসের মোহসিন হোসেন। জরুরী সভায় প্রধান অতিথি রাশ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সভা শেষে খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ বলেন, রাস মেলায় নিবিঘ্নে যাতে র্তীথ যাত্রীরা যেতে পারে তার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সাগর মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনে বন বিভাগের অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। তা ছাড়া তিনি সার্বক্ষনিক তদারকিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জরুরী সভায় খুলনা রেঞ্জে এলাকায় টহল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৭ টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে এ সকল টিম অভিযান পরিচালনা করবেন। সভায় বিভিন্ন স্টেশন কর্মকর্তা, টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ সিএমসির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।