বাংলাদেশের রাজনীতিকে কারা নষ্ট করেছে? যারা মাদকসেবি এবং মাদকবিক্রিতে তৈরি করেছেন নিরেটচক্র; বাংলাদেশে একের পর এক মাদকময় আগ্রাসনের আঘাতে জর্জরিত করছে ছাত্র-যুব-জনতাকে। মাদক নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে না পারলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী অবশ্য দেশে ২৪ নয়, ১৫ রকমের মাদক সেবন করা হয়। তবে র্যাব-পুলিশের হিসেবে সংখ্যাটা ৬ থেকে ১০-এর মধ্যে। এই মাদকগুলো কোন সীমান্ত দিয়ে আসছে, কীভাবে আসছে? প্রশ্নের পর প্রশ্নের জাল তৈরি হলেও গত ৪৯ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে মাদকের বড় বাজার নির্মাণ হয়েছে ২ দশকে।
সরকারি দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাদকসেবীরা যেসব মাদক সেবন করেন, সেগুলোর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। মাদক চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে নতুন মাদকসেবীরা জানতে পারছে নতুন নতুন মাদকের নাম। মাদক ব্যবসায়ীদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করলেও মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারে তাদের আগ্রহ কম। কারাগারেও তাদের নিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। মাদকসেবীদের অস্বাভাবিক আচরণে অতিষ্ঠ হন কারারক্ষীরাও।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ ধরনের মাদক উদ্ধার হয়েছে। আর এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, রেক্টিফাইড স্পিরিট, ডিনেচার্ড স্পিরিট, তাড়ি, প্যাথেডিন, বুপ্রেনরফিন (টি.ডি. জেসিক ইঞ্জেকশন), ভাং, কোডিন ট্যাবলেট, ফার্মেন্টেড ওয়াশ (জাওয়া), বুপ্রেনরফিন (বনোজেসিক ইঞ্জেকশন), মরফিন, আইচ পিল, ভায়াগ্রা, সানাগ্রা, টলুইন, পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট ও মিথাইল-ইথাইল কিটোন।
বাস্তবতার আলোকে আলোর পথে থাকতে থাকতে সংখ্যায় এত হলেও আসলে বাংলাদেশের মাদকসেবীরা সেবন করে ৬ থেকে ১০ ধরনের মাদক। সবচেয়ে ভয়াবহতা ইয়াবাকে ঘিরে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সবখানেই মিলছে ইয়াবা। যদিও সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর অনেকটা গোপনে বিক্রি হচ্ছে মাদক। পুলিশের অভিযানের কিছুক্ষণ পরই নতুন করে বিক্রিতে লেগে যাচ্ছেন সরকারী দলের পাশাপাশি প্রশাসনের একাংশের মদদপুষ্ট মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকের বড় ব্যবসায়ীদের কেউ ধরা পড়েনি। অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিদেশ থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছেন মাদক ব্যবসা। এরইমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন চৌধুরী একটি আন্তর্জাতিক গণমাশ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের অভিযানে ১৫ ধরনের মাদক উদ্ধার হয়েছে।তবে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা আর ফেনসিডিলই বেশি। অন্যগুলো পরিমাণে খুব বেশি পাওয়া যায় না। তবে সাম্প্রতিককালে ইয়াবা বেড়ে যাওয়ায় অন্য মাদক পরিমাণে কম পাওয়া যাচ্ছিল। এখন অভিযান শুরুর পর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা উৎস বন্ধ করার চেষ্টা করছি। ইয়াবাটা শুধু মিয়ানমার থেকেই আসে। আর অন্য মাদকগুলো আসে ভারত থেকে। চোলাই মদ এখানেই তৈরি হয়। আর গাঁজার কিছু চাষ গোপনে বাংলাদেশে হয়।’
আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের রুট ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ (মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-লাওস) এবং ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ (পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান)-এর একেবারে কেন্দ্রে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে এদেশে মাদকের অনুপ্রবেশ ঘটছে। তিন দিক দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সহ বিভিন্ন সংবাদের ভিত্তিতে বলতে পারি- এই সময়ে ইয়াবা বাংলাদেশে মাদক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে কিডনি, লিভার ও ফুসফস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাময়িক যৌন উত্তেজনা বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া ইয়াবার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এমন একটি যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে সীমান্ত ঘেষা এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ করে বলে ধারণা করছি। মাদকের প্রবেশপথ হিসেবে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন ৩২টি জেলাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) । অবৈধ মাদক আমদানির জন্য প্রতি বছর দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ মাদক আমদানিতে প্রতি বছর কত টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এর সুনিদিষ্ট কোনো হিসেব কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। এক হিসেবে দেখা গেছে, সারা দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ২৫ লাখের কম নয়। ৫ শতাধিক মদকাসক্তের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে তাদের ১৫০ টাকার মাদক লাগে। এই হিসেবে একজন মদকাসক্ত বছরে ৫৪ হাজার ৭৫০ টাকার মাদক সেবন করে। ২৫ লাখ মাদকাসক্ত বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকার মাদক সেবন করে। এসব মাদকের পুরোটাই অবৈধভাবে দেশে আসছে। আর পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
আমাদের বন্ধুদেশ ভারত। অথচ এই ভারত থেকে বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হাসনাবাদ, তাকি, বশিরহাট, স্বরূপনগর, বাদুরিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বনগাঁও, পেট্রাপোল, হেলেঞ্চা, ভবানীপুর, রানাঘাট, অমৃতবাজার, বিরামপুর, করিমপুর, নদীয়া, মালদাহ, বালুরঘাট, আওরঙ্গবাদ, নিমতিতাসহ সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় সব এলাকা দিয়ে ১৫টি পয়েন্টে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট এবং দিনাজপুরে মাদক ঢুকছে। আর ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ের বাংলাদেশ ঘেঁষা এলাকাগুলোর চারটি পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকছে কুড়িগ্রাম, শেরপুর, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনায়। শুধু এখানেই শেষ নয়; বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের চারটি পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকছে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং ফেনীতে এছাড়াও ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর হয়ে নওগাঁয় ফেন্সিডিল পাচারের নতুন রুটের সন্ধান পাওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব রুট দিয়ে দেশে হেরোইন, ফেন্সিডিল, গাঁজা ঠেকাতে বাংলাদেশের আহ্বানে ভারত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ফেন্সিডিল ও ফেন্সিডিল তৈরির উপকরণ সরবরাহ এবং বহন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। মিয়ানমারের সঙ্গে মাত্র ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্তের সবচেয়ে সক্রিয় মাদক রুটগুলো গোটা দেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ঢুকছে কোটি-কোটি পিস ইয়াবা। ইয়াবার অবাধ প্রবেশে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। বেশির ভাগ ইয়াবা তৈরি হয় মিয়ানমার-চীন সীমান্তের শান এবং কাচিন প্রদেশে। মিয়ানমারের সাবাইগন, তমব্রু, মুয়াংডুর মতো ১৫টি পয়েন্ট দিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, ধুমধুমিয়া, কক্সবাজার হাইওয়ে, উখিয়া, কাটাপাহাড়, বালুখালি, বান্দরবানের গুনদুম, নাইখ্যংছড়ি, দমদমিয়া, জেলেপাড়ার মতো অর্ধশত স্পট দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে বাংলাদেশে। এইসব তথ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, র্যাব-পুলিশ-প্রশাসন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলে জানার পরও কিভাবে বাংলাদেশ সমস্যার এই মাদকের রাজ্যে কারা নির্মাণ করছে? তারা নয়তো! যারা রাজনীতিকে হাতিয়ার করে রাতদিন নির্মমতায় মেতে উঠছে, মেতে উঠছে চরম মাদকাসক্তির মধ্য দিয়ে। ইয়াবার জন্য মিয়ানমারের পছন্দের বাজার ছিল থাইল্যান্ড । কিন্তু এরপর আমাদের দেশে এই মাদকের আসক্তের সংখ্যা কল্পনার বাইরে চলে যাওয়ায় ইয়াবার বড় বাজারে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এই বাজারের চাহিদা মেটাতে কক্সবাজার-টেকনাফের স্থল সীমান্তবর্তী ৬০-৭০টি স্পট দিয়ে দেশে ইয়াবা ঢুকছে। কক্সবাজার, টেকনাফ সংলগ্ন উপকূলবর্তী সমুদ্রে প্রায় ৩ লাখেরও বেশি ছোট-বড় নৌযান চলাচল করে। এসব নৌযানে করে ইয়াবার চালান আসে। সব জানার পরও দেশকে কিভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? কিভাবে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া দেশকে মাদকের রামরাজত্ব বানাচ্ছে? চাই প্রতিহত করা হোক সকল অন্ধকার।
মাদকের রাম-রাজত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই দেশে লক্ষ লক্ষ মাদকাসক্তকে নিরাময়ের জন্য সরকারীভাবে রয়েছে মাত্র দুটি নিরাময় কেন্দ্র। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে আহসানিয়া মিশন পরিচালিত অ্যাডিকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টেগ্রেটেড কেয়ার সেন্টার। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও এখানে আছে নারীদের জন্য মাদকাসক্তির চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র। এখান থেকেই গাজীপুর ও যশোরে পুরুষদের দু’টি নিরাময় কেন্দ্রের কার্যক্রমের তদারকি চলে। মাদকদ্রব্য বলতে বোঝানো হয় যে, এমন দ্রব্য, যা খেলে নেশা হয়। এগুলো হোল গাঁজা, ফেন্সিডিল, চরস, ভাঙ, গুল, জর্দা, হেরোইন, প্যাথেডিন, মদ, ইয়াবা ইত্যাদি। যখন কেও এসব দ্রব্যাদির উপর নেশাগ্রস্থ হয়, তখনই তাকে মাদকাসক্ত বলা হয়।
মাদক প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি-পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা, পরিমিত জীবন যাপন, বন্ধু নির্বাচন, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পথ। আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে বলা আছে- ১) ‘অধিদপ্তর’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বা স্থাপিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর; ২) ‘অ্যাগনিস্ট (অমড়হরংঃ)’ অর্থ এইরূপ কোনো বস্তু যাহা তপশিলে উল্লিখিত কোনো মাদকদ্রব্যের রাসায়নিক গঠনের অনুরূপ গঠন বিশিষ্ট বস্তু না হওয়া সত্ত্বেও আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে ওই বস্তুর মতো একইভাবে কার্যকর; ৩) ‘অ্যানালগ (অহধষড়মঁব)’ অর্থ তপশিলের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এইরূপ বস্তু, যাহার রাসায়নিক সংগঠন তপশিলের অন্তর্গত কোনো মাদকের রাসায়নিক সংগঠনের অনুরূপ এবং যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনো দৈহিক কার্যক্রম একই রকম; ৪) ‘অ্যালকালয়েড (অষশধষড়রফ)’ অর্থ তপশিলের উল্লিখিত কোনো বস্তু বা মাদকদ্রব্য হইতে রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনো বস্তু যাহার আসক্তি সৃষ্টিকারী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়া মূল মাদকদ্রব্য বা মাদক জাতীয় বস্তুটির অনুরূপ বলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বললেও। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আশানুরূপ কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না চারপাশের বিভিন্ন তদবিরীয় অনৈতিক রাজনীতিকদের কারণে। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশকে ভালোবাসে। বাংলাদেশের মানচিত্রকে ভালোবেসে। তা না হলে মাদকে যেমন রাজধানী ভেসে যাচ্ছে, বিভাগীয় শহরগুলো ভেসে যাচ্ছে; তেমন ভেসে যেতে পারে সারাদেশ...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি