“শীত মৌসুমে দাপ্তরিক সভা ও অনুষ্ঠানগুলি দপ্তরের উম্মুক্ত স্থানে বা খোলা ছাদে অনুষ্ঠিত হলে প্রচুর বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা হয়। চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকার ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক বন্ধ্যাত্ব দূর হয়ে সরকারি কর্মচারিদের মন সতেজ হয় এবং কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়”----এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। আজ (২৬/১১/২০২০ খ্রি:) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের খোলা ছাদে হালকা রৌদ্রকরোজ্জ্বল পরিবেশে সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ২ ঘন্টা ব্যাপী প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের সমন্বয়, উন্নয়ন কর্মকান্ডের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ডিসেম্বর মাসের রোড ম্যাপ নির্ধারনের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতিষ্ঠানকে দূর্নীতি মুক্ত ও সেবামুখী এবং প্রযুক্তিবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিভিন্ন কৌশলপত্র নির্ধারণ করা হয়। সভায় মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ প্রকৃতির সাথে অবিচ্ছিন্ন বন্ধন রেখেই পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। অতি যান্ত্রিকতায় মানুষ কর্মস্পৃহা হারায়। মানব জাঁতি ইকো সিস্টেমের অংশ। তাই আমাদের প্রয়োজন প্রকৃতির স্পর্শ, সূর্যের আলো ও পাখপাখালির নিবিড় সান্নিধ্য। এ পরিবেশ সরকারি কর্মচারীদের মনকে সবুজ রেখে দুর্নীতি মুক্ত থাকার প্রেরণা দেবে এবং দেশপ্রেমের শক্তি যোগাবে। এতে সূর্য থেকে ভিটামিন ডি পেয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।” দু’ঘন্টার এ সভায় বিজ্ঞান জাদুঘরের বাতি, পাখা এবং এসি বন্ধ রাখা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৪/১১/২০২০ইং তারিখে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভা ও বাতি, পাখা ও এসি ব্যবহার বন্ধ রেখে জাদুঘরের নীচে খোলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।