বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে মুজিবর রহমান শেখের (৫৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধর করেছে পুলিশ। শুক্রবার ময়না তদন্তের জন্য লাশটি বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তারা শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে মানববন্ধব করেন। এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন! দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
মুজিবরের ভাতিজা আরিফুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী প্রথমে লাশটি দেখতে পায়। এরপর সবাইকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মুজিবরের ভাই আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, বাড়ির মূল দলিল মুজিবর তার সাথে থাকা ব্যাগে রাখতেন। গত বর্ষাকালে তাদের বাড়িঘর তলিয়ে গেলে মুজিবর গ্রামের চাচা মুনসুর শেখের বাড়িতে কিছুদিন থাকেন। সেখানে তার ওই মূল্যবান ব্যাগটি হতে দলিল হারিয়ে যায়। এরপর গত তিন দিন আগে, ২৫ নভেম্বর হঠাৎ করে মুনসুর শেখ ও হেমায়েত শেখ লোকজন নিয়ে ওই দলিলের জায়গা দখল করে। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুজিবরের টিনের বসতঘরের মটকার সাথে দড়ি দিয়ে গলা বাধা মুজিবুর রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অপরদিকে, প্রতিপক্ষ মুনসুর শেখের ভাতিজা সোহাগ শেখ তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কাঠমিস্ত্রি মুজিবর রহমান নিজে আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি সহজ সরল ছিলেন। তার পরিবার কোন যতœ করতো না। গত বুধবার আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার পর রহস্যজনকভাবে মুজিবরের মৃত্যু হয়।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সঠিক কারণ জানার জন্য লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।